images

সারাদেশ

সাবেক এমপিকে এজেন্ট বানিয়েও জামানত রক্ষা হলো না সেই প্রার্থীর

জেলা প্রতিনিধি

৩০ মে ২০২৪, ০৮:০৪ পিএম

কুমিল্লা দেবিদ্বার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দু’বারের সাবেক এমপিকে এক চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রধান এজেন্ট হিসেবে কাজ করতে দেখা গেছে। তার বিরুদ্ধে এলাকায় প্রভাব খাটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই এমপিকে এজেন্ট বানিয়েও জামানত রক্ষা করতে পারেননি চেয়ারম্যান প্রার্থী খাদিজা বিনতে রোশন।

আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান হলেন যারা

বৃহস্পতিবার (৩০ মে) স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রোশন আলী মাস্টারের মেয়ে হচ্ছেন এ খাদিজা। তার প্রতীক হচ্ছে দোয়াত-কলম। এ নারীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট হয়েছিলেন দু’বারের সাবেক এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুল। এই নিয়ে উপজেলাজুড়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছিল। এছাড়া নির্বাচনের বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রভাব খাটানো অভিযোগ পাওয়া গেছে ওই এমপির বিরুদ্ধে।

স্থানীয়রা বলছেন যে বর্তমান এমপি আবুল কালাম আজাদের ছোট ভাই চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মামুনুর রশিদকে হারানোর জন্য ফখরুল নিজেই চেয়াম্যান প্রার্থী খাদিজার প্রধান এজেন্ট হয়েছেন। 

এ বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মামুনুর রশিদ মামুন বলেন, সাবেক সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রধান এজেন্ট হয়ে উপজেলায় ঘুরে বেড়িয়েছেন। অনেক চেষ্টা করেও খাদিজা বিনতে রোশনের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারেননি তিনি। 

আরও পড়ুন: উদ্ধারের পর সেই প্রীতিকে বিজয়নগর আনা হচ্ছে

এবার দোয়াত-কলম মার্কায় ভোট পড়েছে মাত্র ৩০৩। অপরপক্ষে মামুনুর রশিদ ভোট পান ৯২ হাজার ৫২১, সাহিদা বেগম পান ৩৪ হাজার ৪৮০। 

চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. মামুনুর রশিদ মামুন (আনারস) আরও বলেন, আমাকে ফেল করানোর জন্য তিনি প্রকাশ্যে কাজ করেছেন। আমার নেতা-কর্মীদের নানাভাবে হুমকি-ধামকি দিয়েছেন। এ বিষয়ে আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছিলাম।

তবে এ বিষয়ে কুমিল্লা জেলার অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, একজন ভোটার হিসেবে যে কেউ তার পছন্দের প্রার্থীর নির্বাচনী এজেন্ট হতে পারেন। তাছাড়া রাজী মোহাম্মদ ফখরুল তো বর্তমানে এমপি না। 

প্রতিনিধি/ এমইউ