images

সারাদেশ / শিক্ষা

পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে হাবিপ্রবিতে মানববন্ধন 

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

১৩ মে ২০২৪, ০৯:২৫ পিএম

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) বৈষম্যমূলক পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষক সমিতি। 

সোমবার (১৩ মে) বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনের সড়কে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনটিতে দল-মত নির্বিশেষে সব শিক্ষক অংশগ্রহণ করেন। 

আরও পড়ুন: বেরোবিতে সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হলেন ড. মোরশেদ

অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত পেনশন স্কিম ব্যবস্থার প্রজ্ঞাপন বাতিল ও স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের দাবিতে এই মানববন্ধন করার কথা জানিয়েছেন তারা।

মানববন্ধনে হাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজার রহমান বলেন, সার্বজনীন পেনশন স্কিম ছিল নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য। যার মাধ্যমে দেশের নিম্ন আয়ের মানুষেরা পেনশন সুবিধার সঙ্গে যুক্ত হতো। কিন্তু দুঃখের বিষয় এই স্কিমের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করে একটি বৈষম্যের সৃষ্টি করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সুপার গ্রেড পাওয়ার নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে।

হাবিপ্রবি প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. বলরাম রায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী ইশতেহারে ছিল সার্বজনীন পেনশন স্কিমের প্রতিশ্রুতি। কিন্তু এই পেনশন স্কিম শিক্ষকদের জন্য একটি চরম বৈষম্যের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শিক্ষকতা পেশাকে গ্রেড-১-এর মর্যাদা দিয়েছেন। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা চাই যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একটি স্বতন্ত্র বেতন স্কেল দেওয়া হোক।

হাবিপ্রবির গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. শ্রীপতি সিকদার বলেন, সার্বজনীন পেনশন স্কিম শিক্ষকদের জন্য চরম বৈষম্যমূলক। এ ধরনের স্কিম অতীতে কখনও ছিল না। শিক্ষাখাতকে ধ্বংস করে, শিক্ষকদের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়ে আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থা করার এই নীল নকশা আমরা প্রত্যাখান করছি। 

আরও পড়ুন: বেরোবিতে চাকরির বয়সসীমা ৩৫ দাবিতে মানববন্ধন 

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন - গণতান্ত্রিক শিক্ষক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফাহিমা খানমসহ অন্যান্য শিক্ষকরা।

উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ অর্থ মন্ত্রণালয় কতৃর্ক জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, যে সব শিক্ষক ১ জুলাই, ২০২৪ তারিখের পর যোগদান করবেন তাদের জন্য সার্বজনীন পেনশন স্কিমের 'প্রত্যয় স্কিম' বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদের ক্ষেত্রে উক্ত প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার জন্য বিদ্যমান অবসর সুবিধা সংক্রান্ত বিধিবিধান প্রযোজ্য হবে না।

প্রতিনিধি/ এমইউ