জেলা প্রতিনিধি
০৪ মে ২০২৪, ০৬:০৭ পিএম
যশোরের মণিরামপুরে প্রবাসী প্রেমিকার পরিকল্পনায় খুন হন মেসকাত নামে এক যুবক।
শনিবার (৪ মে) পুলিশ এ বিষয়টি নিশ্চিত করে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যশোরের মণিরামপুরে ধানক্ষেত থেকে উদ্ধার হওয়া পাবনার মেসকাতকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন তার প্রেমিকা প্রবাসী নাজমা। এজন্য ওই নারী বিদেশে বসেই মেসকাতকে হত্যা করতে রিক্তা বেগমের সঙ্গে দু’লাখ টাকার চুক্তি করেন। আর রিক্তা ঠিক করে ভাড়াটে খুনি শাহীনকে।
আরও পড়ুন: বড় ভাইকে পিটিয়ে হত্যা করলো ছোট ভাই
এরপর শাহীন ড্রাইভার কৌশলে মেসকাতকে মণিরামপুরে এনে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে লাশ ধান ক্ষেতে ফেলে চলে যায়। ডিবি পুলিশের অভিযানে আটকের পর এ হত্যায় জড়িত অন্যতম আসামি সাতক্ষীরার ঝাউডাঙ্গা গ্রামের রিক্তা এসব তথ্য জানান।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নাজমার বাবা সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার নৈকাটি গ্রামের নিজাম সরদারকেও আটক করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যায় ব্যবহৃত প্রাইভেটকার ও মেসকাতের মোবাইল ফোন। নিহত মেসকাত পাবনার ভাঙ্গুরা উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের নিজাম প্রামানিকের ছেলে।
শনিবার ডিবি পুলিশের ওসি রুপন কুমার সরকার জানান, মেসকাত ও প্রবাসী নাজমা দু’জনেই যশোরের পদ্মবিলায় ইলা অটো রাইস মিলের শ্রমিক ছিলেন। একপর্যায়ে তারা পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এরই মাঝে বিদেশে চলে যান নাজমা।
এদিকে মেসকাত নিজ এলাকায় চলে যান। তাদের সম্পর্কের বিষয়টি জেনে যায় মেসকাতের স্ত্রী জুলেখা। পরে সে নাজমাকে ফোন দিয়ে গালিগালাজ করে। এসব বিষয় নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয় নাজমার মনে। এরপর তিনি হত্যার পরিকল্পনা করেন।
আরও পড়ুন: মোরেলগঞ্জে কৃষক হাকিম হত্যাকারীদের গ্রেফতার দাবি
এ সময় নাজমা মেসকাতকে বলেন যে ঝাউডাঙ্গা বাজারে তার স্বর্ণালংকার রয়েছে। এগুলো সাতক্ষীরার বাড়িতে পৌঁছে দিতে হবে। এ কাজে তিনি ঠিক করেন শাহীন ড্রাইভারকে। শাহীন কৌশলে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে মেসকাতের লাশ মণিরামপুরে এনে ধান ক্ষেতে ফেলে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় নিহত মেসকাতের ভাই এরশাদ আলী মণিরামপুর থানায় মামলা করেন। এরপর তদন্ত শুরু করে ডিবি পুলিশ। শুক্রবার সাতক্ষীরা জেলায় অভিযান চালিয়ে ডিবির এসআই মফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি টিম মেসকাতের মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে ওই দুই আসামিকে আটক করে।
প্রতিনিধি/ এমইউ