জেলা প্রতিনিধি
০১ মে ২০২৪, ০৮:৩৩ পিএম
নেত্রকোনার কলমাকান্দায় চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর হামলার ঘটনায় আবদুল কুদ্দুছ বাবুলের ছেলে নাঈম মিয়া নেতৃত্বে ছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। এরপর থানায় গিয়ে হামলা ও মারধর করার অভিযোগ করেছেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মুহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) গভীর রাতে তিনি বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: নাটোরে চেয়ারম্যান প্রার্থী মিলনের সমর্থকের ওপর হামলা
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অপর চেয়রাম্যান প্রার্থী আবদুল কুদ্দুছ বাবুলের ছেলে নাঈম মিয়ার নেতৃত্বে একদল যুবক তাদের ওপর হামলা চালান। এতে তিনিসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। আসামি হিসেবে নাঈম মিয়াসহ সাতজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
প্রথম ধাপে ৮ মে কলমাকান্দা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এখানে চেয়ারম্যান পদে সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গতকাল সন্ধ্যায় মোস্তাফিজুর রহমান গণসংযোগ করে কান্দাপাড়া এলাকার দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবদুল কুদ্দুছ বাবুলের কর্মী–সমর্থকেরা তাদের বাধা দিয়ে হামলা চালান। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবদুল কুদ্দুছের ছেলে নাঈম মিয়ার নেতৃত্বে হামলা করা হয়। এতে মোস্তাফিজুর রহমান, তার সমর্থক শেখ নাসিম, রনি মিয়া, জামাল মিয়াসহ ১০ জন আহত হন। আহত ব্যক্তিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
ওই হামলার ঘটনার একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে দেখা যায়, কয়েকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালান। এ সময় মোস্তাফিজুর রহমান তাদের সঙ্গে কথা বলতে যান। তখন তাকেও মারধর করা হয়।
আরও পড়ুন: কলমাকান্দায় চেয়ারম্যান প্রার্থী-সমর্থকদের ওপর হামলা
এ বিষয়ে জানতে চেয়রাম্যান প্রার্থী আবদুল কুদ্দুছ বাবুলকে প্রশ্ন করা হলে, তিনি বলেন যে হামলা বা মারধরের বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।
এ হামলার বিষয়ে কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লুৎফুল হক বলেন, হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতার করতে অভিযান চলছে। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আবদুল কুদ্দুছও অভিযোগ জানিয়েছেন যে তার সমর্থকদের ওপর মোস্তাফিজুর রহমানের লোকজন হামলা করেছেন। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রতিনিধি/ এমইউ