images

ককপিট

বিমানের সিটের হাতল ভেঙে মনিটর খোলার চেষ্টাকারী এখনো শনাক্ত হয়নি

মোস্তফা ইমরুল কায়েস

১৯ জানুয়ারি ২০২৩, ০৪:৪৪ পিএম

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের অত্যাধুনিক বোয়িং ৭৮৭-৯ ডিমলাইনের আসনের হাতল ভেঙে ফেলাসহ মনিটর খোলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে শনাক্ত করতে পারিনি কর্তৃপক্ষ। তবে এ ঘটনায় একটি কমিটি গঠিত করা হয়েছে। খুব শিগগিরই এই কমিটি বিষয়টির তদন্ত শেষ করে প্রতিবেদন জমা দেবে বলে জানিয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউল আজিম।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে এই তথ্য জানিয়ে শফিউল আজিম ঢাকা মেইলকে বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে। তবে কোন যাত্রী এমন কাজ ঘটিয়েছে, তা এখনো বের করা সম্ভব হয়নি। তদন্ত কমিটি কাজ করছে। তারা খুব শিগগির তদন্ত শেষে রিপোর্ট প্রদান করবেন।

বিমান সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে কানাডা রুটে চলাচল করে অত্যাধুনিক এই ড্রিমলাইনার। মাঝে তেল নেওয়ার জন্য এক ঘণ্টা ১৫ মিনিট বিরতি দেওয়া হয় তুরস্কে। এরপর টানা ২১ ঘণ্টা ৩০০ যাত্রী নিয়ে উড়ে ড্রিমলাইনারটি। সম্প্রতি ঢাকা থেকে কানাডা রুটে যাতায়াতের মাঝে আসনের হাতল ভাঙাসহ মনিটর খোলার এই ঘটনা ঘটে।

>> আরও পড়ুন: শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনালের পরিচালন ও দেখভাল পিপিপিতে

বিষয়টি যাত্রাপথে কারও চোখে ধরা না পড়লেও টরেন্টোতে গিয়ে রুটিনমাফিক চেক করার সময় এটি ধরা পড়ে। সে সময় দেখা যায়, দুটি আসনের হাতল ভাঙার পাশাপাশি আসনের সঙ্গে যুক্ত থাকা একটি মনিটর খুলে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।

বিমান সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিমান বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন ঘটনা এর আগে কখনো ঘটেনি। হয়তো যাত্রীদের সঙ্গে কর্মচারীদের তর্ক-বিতর্ক কিংবা মারামারির ঘটনা ঘটেছে‌। কিন্তু এমন কাণ্ড ঘটায় তারা হতবাক। বিশেষ করে বিমানের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসার পর এমন ঘটনা কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ কি-না সেটির তদন্ত চলছে।

>> আরও পড়ুন: এয়ার অ্যাস্ট্রায় তৃতীয় এয়ারক্রাফট, চলবে সিলেট-সৈয়দপুর রুটে

বিষয়টি নিয়ে কথা হলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার ঢাকা মেইলকে বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি হয়েছে বলে শুনেছি। তবে সে যাত্রীকে এখন পর্যন্ত শনাক্ত করা যায়নি। এ ব্যাপারে কোনো রিপোর্ট পেলে জানানো হবে।

এর আগে ২০২০ সালে ড্রিম লাইনার সোনার তরির দুইটি মনিটর ভেঙে ফেলার ঘটনা ঘটেছিল। ওই বছরের ৯ জানুয়ারি লন্ডন থেকে সিলেট আসার পথে এমন ঘটনা ঘটে। তবে লন্ডনের ম্যানচেস্টার থেকে ফেরার পথে কোন যাত্রী এমন কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন বা সেই ঘটনায় পরবর্তীতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা বিমানের পক্ষ থেকে আর জানানো হয়নি।

এমআইকে/আইএইচ