জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
২৯ মে ২০২৪, ০২:০৯ পিএম
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মতো একটি সরকারি পতাকাবাহী এয়ারলাইন্সের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে কোনো পর্যায় থেকে কোনো ধরনের চাপ অনুভব করেননি বলে জানিয়েছেন বিমানের এমডি ও সিইও শফিউল আজিম। তিনি বলেছেন, বিমানের কোনো স্বার্থে বিন্দুমাত্র কম্প্রমাইজ করিনি। হাই অথোরিটি বারবার বলেছে বিমানের জন্য যা ভালো তা করতে। এজন্য কোনো ধরনের চাপ ফিল করিনি।
বুধবার (২৯ মে) দুপুরে বলাকা ভবনের কনফারেন্স রুমে এভিয়েশন ও পর্যটন সাংবাদিকদের সংগঠন এভিয়েশন অ্যান্ড ট্যুরিজম জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশের (এটিজেএফবি) সদস্যদের সাথে বিদায়ী মতবিমিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
শফিউল আজিম বলেন, বিমানকে ভালো জায়গায় নেওয়ার জন্য যখন যা করা দরকার তা করেছি। আমার অবস্থান থেকে যতটুকু ক্ষমতা ব্যবহার করা দরকার আমি তা করেছি শুধু বিমানের স্বার্থে।
যিনি নতুন এমডি আসছেন তাকে বিমানের সংশ্লিষ্টরা সহযোগিতা করলে তিনিও ভালো করতে পারবেন বলে মনে করেন বিদায়ী সিইও। তিনি বলেন, বিমান সামনে আরও ভালো করবে। বিমানের স্ট্রাকচার দাঁড় করানোর চেষ্টা চলছে। এখানে কর্মীর পারফরম্যান্স, দক্ষতা, লিমিটেশনটাও দেখতে হবে নতুন এমডিকে।
বিদায়ী এমডি বলেন, সুপারিশ থাকবে বয়স না দেখে যারা টেকনিক্যাল কাজ করে তাদের মূল্যায়ন করতে। দেখবেন তাদের মূল্যায়ন করলে তারা বিমানকে অন করবে। ট্রিপিক্যাল মানসিকতা রাখলে হবে না। তারা কিন্তু অবসরে গিয়ে বেসরকারি এয়ারলাইন্সে ভালো করছে। কর্মীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নয়, অভিজ্ঞতার আলোকে মূল্যায়ন করলে তারা বিমানকে এগিয়ে নেবে।
বিমানের সিস্টেমকে উন্নত করতে আপনি কী কী করেছেন-এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বিমানের টেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং খাত একটা ভাইটাল খাত। তারা অবহেলিত ছিল। আমি তাদের বিষয়টি ফোকাস করার চেষ্টা করেছি।
শফিউল বলেন, সব টেকনিক্যাল কাজ করার জন্য দক্ষ লোক দরকার। সবাই সব করতে পারে না। আমার মনে হয়েছে বিমানের হিউম্যান রিসোর্স বিভাগে যারা আছেন তারা হাইলি মানসম্মত। টেকনিক্যালও মানসম্মত। আমি চেষ্টা করেছি যেসব ল্যাকিংস আছে সেগুলো সমন্বয় করার জন্য। টেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দিলে হবে কী, তার মনোযোগটা একদিকে থাকবে।
শাহজালালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের কাজটা বিমানের হাতে থাকা দরকার বলেও মনে করেন বিদায়ী এমডি। তিনি বলেন, এ কাজে ব্যবহৃত ইকুইপমেন্টগুলো উন্নতমানের। একাজ যারা করছে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তারা যখন কাজ করছে তখন তাদের সাথে ইন্সট্রাকটররা থাকছে। গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংয়ের ইকুইপমেন্টগুলো নিয়ে সিঙ্গাপুরও প্রশংসা করেছে। ফলে বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডেলিংটা অন্য কারও হাতে দেওয়ার সুযোগ নেই এবং ঠিকও হবে না। বিমান এ কাজটি ১৯৭২ সাল থেকে করে আসছে। যে কেউ হঠাৎ করতে পারবে না।
অনুষ্ঠানে এটিজেএফবির সভাপতি তানজিম আনোয়ার, সেক্রেটারি (ভারপ্রাপ্ত) বাতেন বিপ্লব, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরুল কাওসার ইমন, অর্থ সম্পাদক শফিউল্লাহ সুমন ও বিমানের সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
এমআইকে/জেবি