images

অটোমোবাইল

স্পোর্টি লুক ও শক্তিশালী ইঞ্জিনে এলো হার্লে-ডেভিডসনের এই মোটরসাইকেল

অটোমোবাইল ডেস্ক

০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:২৩ এএম

ভারতের বাজারে আসতে চলেছে হার্লে-ডেভিডসনের নতুন মোটরসাইকেল হার্লে-ডেভিডসন X440 T। হিরো-হার্লে অংশীদারিত্বে তৈরি এই নতুন মডেলটি জনপ্রিয় X440-এর হালনাগাদ সংস্করণ। ২০২৩ সালে বাজারে আসার পর থেকেই X440 গ্রাহকদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পেয়েছে। সেই সফলতার ধারাবাহিকতায় আরও স্পোর্টি নকশা, নতুন প্রযুক্তি ও ডিজাইনের পরিবর্তন নিয়ে হাজির হচ্ছে নতুন X440 T। যদিও এর মূল কাঠামো অপরিবর্তিত থাকছে, তবে সামগ্রিক নকশা আগের তুলনায় আরও আগ্রাসী ও রোডস্টার ধাঁচের।

হার্লে-ডেভিডসন X440 T আত্মপ্রকাশ করল

প্রথম বড় পরিবর্তনটি দেখা গেছে বাইকের পেছনের অংশে। নতুন চিকন ও কোণাকৃতি টেইল ডিজাইন আগের মডেলের তুলনায় অনেক বেশি আধুনিক। আগের অতিরিক্ত ফাঁকও এবার বাদ দেওয়া হয়েছে। একইভাবে নিষ্কাশন পাইপের (এক্সহস্ট) নকশাতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে, যা বাইকের উপস্থিতিকে আরও শক্তিশালী ভিজ্যুয়াল প্রভাব দেবে।

Harley-Davidson-X440T-Photo-1-1024x674

এছাড়াও নতুন বার-এন্ড আয়না, আরও আকর্ষণীয় নতুন রং, এসব মিলিয়ে X440 T-কে আগের তুলনায় আরও নতুনত্ব এনে দিয়েছে। তবে সামনের দিকের নকশা প্রায় একই রাখা হয়েছে, এবং জনপ্রিয় "টার্টল-ট্যাঙ্ক" ডিজাইনও অপরিবর্তিত আছে।

নতুন প্রযুক্তির ইঙ্গিত

নতুন মডেলের সবচেয়ে বড় আপডেট হতে পারে রাইড-বাই-ওয়্যার থ্রটল ব্যবস্থা। ফাঁস হওয়া ছবিতে ডানদিকে হ্যান্ডেলবারে কোনো থ্রটল তার দেখা যায়নি, যা ইঙ্গিত করে X440 T ডিজিটাল থ্রটল প্রযুক্তি পেতে পারে।

এর মাধ্যমে যুক্ত হতে পারে—

ভিন্ন ভিন্ন চালনা মোড

চালু/বন্ধ করার সুবিধাসহ ট্র্যাকশন নিয়ন্ত্রণ

চালু/বন্ধ করা যায় এমন দ্বৈত-চাপ প্রতিরোধক (সুইচেবল এবিএস)

এসব মিলিয়ে বাইকটির প্রযুক্তিগত মান আরও উন্নত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।

ইঞ্জিন ও হার্ডওয়্যার

শক্তির দিক থেকে X440 T-তে থাকছে একই ৪৪০ সিসি বায়ু-তেল-শীতল এক সিলিন্ডারের ইঞ্জিন। এর উৎপাদন ক্ষমতা আগের মতোই—

৬,০০০ আরপিএম-এ ২৭ বিএইচপি শক্তি

৪,০০০ আরপিএম-এ ৩৮ এনএম টর্ক

এই ইঞ্জিন শহর ও মহাসড়ক—দুই ক্ষেত্রেই পরিমিত ও শক্তিশালী কর্মক্ষমতা দেয়। এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে ৬-ধাপের গিয়ারবাক্স, যা মসৃণভাবে গিয়ার পরিবর্তনের সুবিধা দেয়।

hq720

চেসিস ও সাসপেনশন

কাঠামো: শক্তপোক্ত স্টিল ট্রেলিস ফ্রেম

সামনে: ৪৩ মিমি উল্টো ফর্ক (ইনভার্টেড ফর্ক)

পেছনে: গ্যাস-চার্জড প্রিলোড-সমন্বয়যোগ্য যমজ শক

ব্রেকিং ব্যবস্থায় সামনে রয়েছে ৩২০ মিমি ডিস্ক ও বাইব্রে ক্যালিপার, পেছনে রয়েছে ২৪০ মিমি ডিস্ক—যা আত্মবিশ্বাসী থামার ক্ষমতা দেয়।

বিক্রয় নেটওয়ার্ক

হার্লে-ডেভিডসন X440-এর মতোই নতুন X440 T-ও বিক্রি হবে হিরো প্রিমিয়া নেটওয়ার্কের মাধ্যমে। বর্তমানে ভারতে প্রায় ১০০টির মতো প্রিমিয়া শোরুম রয়েছে এবং কোম্পানি দ্রুতই তাদের প্রিমিয়াম নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করছে। বাজারে আনুষ্ঠানিক উন্মোচনের সময় আরও বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।

আরও পড়ুন: টিভিএস অ্যাপাচি মোটরসাইকেল এলো ৩০০ সিসির ইঞ্জিনে

সব মিলিয়ে, হার্লে-ডেভিডসন X440 T আগের মডেলের সফলতার ওপর ভিত্তি করে আরও আধুনিক, আরও স্পোর্টি এবং আরও প্রযুক্তি-সমৃদ্ধ একটি মোটরসাইকেল হিসেবে হাজির হতে চলেছে। ডিজাইনে পরিবর্তন, নতুন ফিচারের সম্ভাবনা এবং শক্তিশালী ইঞ্জিন—সব মিলিয়ে এটি ৪৪০ সিসি বিভাগের একটি শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে জায়গা দখল করবে।

এজেড