অটোমোবাইল ডেস্ক
০৩ জুলাই ২০২৫, ০২:৩৩ পিএম
মোটরসাইকেল রাস্তায় চলার জন্য একটি ভারসাম্যপূর্ণ যানবাহন। অনেক সময় লক্ষ্য করা যায়, একটি বাইকের সামনের এবং পেছনের চাকায় আকারে কিছুটা পার্থক্য থাকে। অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে—কেন মোটরসাইকেলের দুই চাকার সাইজ এক হয় না? আসুন জেনে নিই এর পেছনের প্রকৌশলগত কারণ এবং উপকারিতা।
মোটরসাইকেলের সামনের চাকা সাধারণত একটু চিকন এবং বড় হয়, আর পেছনের চাকা হয় মোটা ও তুলনামূলক ছোট বা একই ব্যাসের হলেও চওড়া। এই বৈচিত্র্যের পিছনে রয়েছে বিশেষ ডিজাইন দর্শন (engineering logic)।
বড় ও চিকন চাকা ঘোরানো সহজ হয়, ফলে টার্নিং এবং স্টিয়ারিং কন্ট্রোল ভালো পাওয়া যায়।
সামনের চাকা রোডের গর্ত, বাম্পার ইত্যাদি সহজে সামলে নিতে পারে।

চিকন চাকা রাস্তায় কম রেজিস্ট্যান্স তৈরি করে, তাই গতি বাড়াতে সাহায্য করে।
১. ওজন ও পাওয়ার বহন:
ইঞ্জিনের মূল পাওয়ার এবং বাইকের অধিকাংশ ওজন পেছনের চাকার উপর পড়ে। তাই এটি মোটা ও শক্তপোক্ত হয়।
২. গ্রিপ ও ট্র্যাকশন:
মোটা চাকা রাস্তায় ভালো গ্রিপ দেয়, যাতে বাইক পিছলে না যায়।
৩. দ্রুত স্টার্ট ও ব্রেকিং:
পেছনের চাকা ভালো গ্রিপ থাকার কারণে স্টার্ট নেওয়া ও থামার সময় বেশি স্থিতিশীলতা দেয়।

ব্যতিক্রম কিছু বাইক
স্পোর্টস বাইক বা হাই-পারফরম্যান্স বাইকগুলোতে সামনের ও পেছনের চাকার সাইজে আরও বেশি পার্থক্য দেখা যায়। এগুলোতে পেছনের চাকা অনেক বেশি চওড়া হয়, যাতে উচ্চ গতিতে বাইক আরও স্থিতিশীল থাকে।
আরও পড়ুন: ইঞ্জিন ব্রেক কী? কখন এই ব্রেক ধরতে হয়?
মোটরসাইকেলের দুই চাকার ডিজাইনে এই ভিন্নতা কোনো ত্রুটি নয় বরং এটি একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কৌশল। এর ফলে বাইক চালানো হয় আরও নিরাপদ, আরামদায়ক ও নিয়ন্ত্রিত। তাই পরবর্তীবার যখন বাইকের চাকার দিকে তাকাবেন, তখন এর পেছনের বিজ্ঞানটা আর অজানা থাকবে না।
এজেড