অটোমোবাইল ডেস্ক
২২ জুন ২০২৫, ১০:০৩ এএম
বর্ডারক্রস মোটরসাইকেল বলতে বোঝানো হয়, প্রতিবেশি দেশ (বিশেষ করে ভারত) থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে আনা এমন মোটরসাইকেলগুলোকে, যেগুলোর কোনো বৈধ কাগজপত্র বা ট্রানজিট ডকুমেন্ট নেই। সাধারণত চোরাই পথে, সীমান্ত পার করে আনা হয় এসব বাইক। ফলে এগুলো বৈধভাবে রেজিস্ট্রেশনযোগ্য নয় এবং কোনোভাবে আইনত গ্রহণযোগ্য নয়।
বর্ডারক্রস বাইক কোনো অনুমোদিত আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দেশে আনা হয় না। ফলে এসব বাইকের কোনো বিআরটিএ (BRTA) অনুমোদন নেই।

যার ফলে আপনি যদি বৈধভাবে নম্বর প্লেট করতে চান, তাহলে তা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
বর্ডারক্রস মোটরসাইকেলে সাধারণত জাল কাগজে চেসিস ও ইঞ্জিন নম্বর বসানো হয়। অনেক সময় একই নম্বর একাধিক বাইকে ব্যবহৃত হয়, যা পুলিশ বা বিআরটিএ-র কাছে ধরা পড়লে তা জব্দ হতে পারে।
অনেক সময় লোকালভাবে বা চায়না থেকে তৈরি নকল বাইকেও আসল ব্র্যান্ডের লোগো বসিয়ে ‘বর্ডারক্রস’ বলে চালানো হয়। ফলে বাইকটি দেখতে যেমন আসল, তেমনি চালাতে নিম্নমানের—যা হতে পারে জীবনের ঝুঁকিও।

এইসব বাইকের আমদানি বা রেজিস্ট্রেশনে কোনো ভ্যাট, ট্যাক্স বা কাস্টমস ডিউটি দেয়া হয় না। ফলে সরকার প্রতিবছর কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারায়। পাশাপাশি এতে বৈধ আমদানিকারকরাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বর্ডারক্রস বাইক রেজিস্ট্রেশন না থাকায়:
ট্যাক্স টোকেন পাওয়া যায় না
ইনস্যুরেন্স করা যায় না
সড়কে চলাচলও আইনগতভাবে নিষিদ্ধ
কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার সুযোগ থাকে না। এমনকি বাইক জব্দ হয়ে গেলেও কিছুই করার থাকে না।

পুলিশ চেকপোস্টে ধরা পড়লে জব্দ হয়
চালকের বিরুদ্ধে মামলা হয়
কোনো প্রমাণ না থাকলে জেল বা জরিমানার মুখে পড়তে হয়
আপনি হয়তো একটু কম দামে বাইক পাচ্ছেন—
কিন্তু ভবিষ্যতে যা হতে পারে:
রাস্তায় পুলিশ ধরলে বাইক জব্দ
বিক্রি করতে গিয়ে পাইকারি লোকসান
রেজিস্ট্রেশন করতে না পেরে আইনি ঝামেলা
দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণহীন ঝুঁকি
কখনোই অরিজিনাল কাগজ ছাড়া বাইক কিনবেন না
বিআরটিএ অনুমোদিত শোরুম বা ডিলার থেকে বাইক নিন
দামের তুলনায় সন্দেহজনকভাবে কম হলে সতর্ক হোন
আরও পড়ুন: পুরনো মোটরসাইকেল কেনার আগে যেসব বিষয় যাচাই করবেন
বর্ডারক্রস মোটরসাইকেল দেখতে আকর্ষণীয়, দামেও সস্তা—তবে এটি একপ্রকার প্রযুক্তিগত ও আইনি ফাঁদ। নিজের অর্থ, সময় ও নিরাপত্তা রক্ষার জন্য এসব ঝুঁকিপূর্ণ বাইক থেকে দূরে থাকাই জ্ঞানী ব্যবহারকারীর কাজ।
এজেড