অটোমোবাইল ডেস্ক
১৪ জুন ২০২৫, ০১:০২ পিএম
প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তন এসেছে মোটরসাইকেলের স্টার্ট সিস্টেমেও। পুরনো দিনের ম্যানুয়াল কি (চাবি) থেকে শুরু করে এখন স্মার্ট কি, কিলেস ইগনিশন, এমনকি মোবাইল অ্যাপ দিয়েও মোটরসাইকেল স্টার্ট করার সুবিধা এসেছে। ফলে অনেকেই প্রশ্ন করেন—চাবি ছাড়া মোটরসাইকেল কি স্টার্ট করা সম্ভব? এবং সেটা কতটা নিরাপদ?
আরও পড়ুন: দীর্ঘদিন মোটরসাইকেল না চালালে কি ইঞ্জিনের ক্ষতি হয়?
উত্তর হলো—হ্যা। কিছু নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে চাবি ছাড়া মোটরসাইকেল স্টার্ট করা সম্ভব, তবে সেটা নির্ভর করে মোটরসাইকেলের মডেল, প্রযুক্তি এবং উদ্দেশ্যের ওপর।
অনেক আধুনিক বাইকে থাকে কিলেস ইগনিশন। এটি একটি স্মার্ট কী বা সেন্সরযুক্ত ডিভাইস, যা বাইকের নির্দিষ্ট দূরত্বের মধ্যে থাকলেই ইগনিশন চালু করা যায়—চাবি ঘোরানোর দরকার পড়ে না।
উদাহরণ: Yamaha R15M, KTM Duke সিরিজ, Honda CB350 H’ness প্রভৃতি।
কিছু স্মার্ট বাইকে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে বাইক স্টার্ট, লোকেশন ট্র্যাক ও লক-আনলক করা যায়। এই পদ্ধতিতে ফিজিক্যাল চাবির প্রয়োজন পড়ে না।
উদাহরণ: Revolt RV400 (ইলেকট্রিক বাইক), Ola S1 Pro ইত্যাদি।

অটোমোবাইল অ্যাকসেসরিজের মাধ্যমে বাইকে রিমোট স্টার্ট সিস্টেম বসানো যায়, যা চাবি ছাড়া রিমোট দিয়েই বাইক চালু করতে দেয়। তবে এটি মূলত স্কুটার বা ই-স্কুটারগুলোতেই বেশি দেখা যায়।
অনেক সময় অপরাধীরা বাইকের ইগনিশন তার কাটাকাটি করে ইঞ্জিন চালু করে ফেলতে পারে, যাকে বলা হয় হট ওয়ায়ারিং। এটি সম্পূর্ণ অবৈধ ও বাইক চুরির একটি পরিচিত কৌশল।
ব্যাটারির মাধ্যমে সরাসরি ইঞ্জিনে বিদ্যুৎ পাঠিয়ে বাইক চালু করা যায় কিছু ক্ষেত্রে। তবে এটি শুধুই জরুরি প্রয়োজনে, যেমন—চাবি হারিয়ে গেলে বা লক ভেঙে গেলে। নিয়মিত এভাবে চালালে বাইকের ইলেকট্রনিক্স ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
আরও পড়ুন: মোটরসাইকেলের সাইলেন্সার পাইপের কাজ কী?
বাইকের চাবি ছাড়া ইচ্ছাকৃত স্টার্ট করার চেষ্টা যদি মালিক নিজে না করে, তবে তা চুরি বা ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে।
চাবি হারিয়ে গেলে কোম্পানির অথরাইজড সার্ভিস সেন্টারে যোগাযোগ করাই সবচেয়ে নিরাপদ ও আইনসম্মত উপায়।
বাইকের কাগজপত্র হাতে রাখুন (রেজিস্ট্রেশন, ইনস্যুরেন্স)
নিকটস্থ অথরাইজড সার্ভিস সেন্টারে যান
বিকল্প কি তৈরি বা ইগনিশন লক পরিবর্তন করান
চাইলে স্মার্ট কী বা রিমোট স্টার্ট সিস্টেম যুক্ত করুন
চাবি ছাড়া মোটরসাইকেল স্টার্ট করা এখন আর দুর্লভ কিছু নয়। আধুনিক প্রযুক্তি যেমন এই সুবিধা দিচ্ছে, তেমনি এটি সঠিকভাবে না জানলে ঝুঁকিপূর্ণ ও অবৈধ হয়ে উঠতে পারে। তাই প্রয়োজন হলে প্রযুক্তি নির্ভর নিরাপদ ও বৈধ পদ্ধতিই অনুসরণ করা উচিত।
এজেড