অনেক সময় ব্যস্ততা, ভ্রমণ বা ঋতু পরিবর্তনের কারণে মোটরসাইকেল দীর্ঘদিন চালানো হয় না। কেউ কেউ ভাবেন, ব্যবহার না করলে বাহন বেশি ভালো থাকে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, দীর্ঘদিন মোটরসাইকেল বন্ধ রাখা হলে ইঞ্জিনসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশে ক্ষতি হতে পারে।
ইঞ্জিনে ক্ষতির ক্ষতির আশঙ্কা কতটা?
১. ইঞ্জিন অয়েলের মান কমে যায়
মোটরসাইকেল না চালালে ইঞ্জিন অয়েল নিচে জমে থাকে এবং একসময় তার স润滑 ক্ষমতা কমে যায়। ফলে আবার স্টার্ট দিলে ইঞ্জিনের ঘর্ষণে ক্ষতি হতে পারে।
২. ব্যাটারি ডাউন হয়ে যেতে পারে
দীর্ঘদিন স্টার্ট না দিলে ব্যাটারি চার্জ হারিয়ে ফেলে এবং একপর্যায়ে পুরোপুরি অকেজো হয়ে যেতে পারে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: ঈদে মোটরসাইকেল নিয়ে ভ্রমণে গেলে করণীয় জানুন
৩. জ্বালানির গুণগত মান নষ্ট হয়
ট্যাংকে থাকা পেট্রোল বা অকটেন দীর্ঘ সময় স্থির থাকলে তা অক্সিডাইজ হয়ে জেলির মতো হয়ে যেতে পারে। এতে কার্বুরেটর বা ইনজেকশন সিস্টেম আটকে যেতে পারে।
৪. জং ধরার আশঙ্কা বাড়ে
ইঞ্জিন ও এক্সজস্ট পাইপের মধ্যে জমে থাকা আর্দ্রতা এবং বাইরের বাতাস থেকে ধাতব অংশে জং ধরতে পারে।
৫. টাইারের বাতাস ও ভারসাম্য হারায়
যখন বাইক অনেক দিন একই জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকে, তখন টায়ারের নির্দিষ্ট অংশ চাপে পড়ে যায়। ফলে টায়ারে ফ্ল্যাট স্পট বা বিকৃতি তৈরি হয়।

কী করবেন বাইক দীর্ঘদিন না চালাতে হলে?
প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার ইঞ্জিন স্টার্ট দিন।
কয়েক মিনিট বাইক চালিয়ে ইঞ্জিন ও অয়েল সচল রাখুন।
ব্যাটারি খুলে আলাদা করে সংরক্ষণ করুন, অথবা চার্জার দিয়ে চার্জ রাখুন।
ট্যাংক পুরোপুরি ভরে রাখুন যাতে পানি জমে না।
বাইকের ওপর কাভার দিন এবং শুকনো জায়গায় রাখুন।
দীর্ঘদিন মোটরসাইকেল না চালানো হলে ইঞ্জিনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই নিয়মিত পরিচর্যা ও সচল রাখার অভ্যাস গড়ে তুললে বাইক দীর্ঘদিন ভালো সার্ভিস দিতে পারে।
এজেড

