অটোমোবাইল ডেস্ক
০৩ জুন ২০২৫, ১১:৩৭ এএম
ঈদ মানেই ঘরমুখো মানুষের স্রোত, আর এ সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় বাহন হয়ে ওঠে মোটরসাইকেল। যাতায়াত খরচ কম, সময় বাঁচে, তাড়াতাড়ি গন্তব্যে পৌঁছানো যায়—এসব কারণেই অনেকেই ঈদের সময় নিজস্ব বা ভাড়াকৃত মোটরসাইকেল ব্যবহার করেন। তবে এই সুবিধার পাশাপাশি রয়েছে বাড়তি ঝুঁকি ও দুর্ঘটনার আশঙ্কা। তাই ঈদের ব্যস্ত সময়ে বাইকে চলাচল নিরাপদ রাখতে চাই বাড়তি সতর্কতা।
চলুন জেনে নেওয়া যাক কিছু প্রয়োজনীয় সেফটি রুলস ও টিপস, যা ঈদের সময় মোটরসাইকেল চালাতে গেলে অবশ্যই মেনে চলা উচিত:
চালক ও পেছনে বসা উভয়ের জন্য মানসম্মত হেলমেট বাধ্যতামূলক। হেলমেট শুধু ট্রাফিক নিয়ম মানার বিষয় নয়, এটি জীবন রক্ষাকারী অস্ত্র। দুর্ঘটনার সময় মাথায় আঘাত কমিয়ে দেয় হেলমেট।

হাফ হাতা জামা-প্যান্ট পরে না চালিয়ে ফুল স্লিভ পোশাক, জুতা, হ্যান্ড গ্লাভস, জ্যাকেট পরুন। এতে দুর্ঘটনার সময় শরীরের ক্ষতি কিছুটা হলেও রোধ করা যায়।
ঈদের আগে বাইকের ব্রেক, হেডলাইট, টায়ার, হর্ন, ইন্ডিকেটর, তেল ও ব্রেক ফ্লুইড ভালোভাবে দেখে নিন। প্রয়োজনে সার্ভিসিং করিয়ে নিন। দূরপথে যাওয়ার আগে টায়ারে হাওয়া ও ব্রেকে কোনো সমস্যা থাকলে সমাধান করুন।

ঈদের সময় রাস্তায় ভিড় ও গাড়ির চাপ বেশি থাকে। তাই দ্রুত পৌঁছানোর চেষ্টায় স্পিড বাড়ানো মানেই ঝুঁকি বাড়ানো। সবসময় নির্ধারিত গতিসীমা বজায় রাখুন।
দুই চাকার বাইকে তিনজন ওঠা আইনত দণ্ডনীয়। অনেকেই ঈদে বাড়ি ফেরার সময় এক বাইকে দুইজন যাত্রী ও মালামাল বহন করেন—এটি বিপজ্জনক। পাশাপাশি ট্রাফিক আইন অনুযায়ী ওভারটেকের সময় সচেতন থাকুন।
চালানোর সময় মোবাইল ফোনে কথা বলা বা ইয়ারফোন ব্যবহার জীবনঘাতী হতে পারে। এক সেকেন্ডের ভুল সিদ্ধান্তও হতে পারে মারাত্মক।

কোথাও গেলে গুগল ম্যাপ বা লোকাল পুলিশ হেল্পলাইন থেকে রাস্তার অবস্থা জেনে নিন। দীর্ঘ ট্রিপে বিরতি নিয়ে বাইক চালান।
একনাগাড়ে বাইক চালালে শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তি আসে। তাই প্রতি ৫০–৬০ কিমি পরপর বিরতি নিন, পানি পান করুন, বিশ্রাম নিন। এতে মনোযোগ ধরে রাখা সহজ হয়।
আরও পড়ুন: ঈদের সময় মোটরসাইকেল চুরি বাড়ে: নিরাপদে রাখার ৭টি উপায়
ডান পাশ দিয়ে ওভারটেক করুন
নির্দিষ্ট লেন অনুসরণ করুন
উল্টো পথে চালানো একেবারেই নয়
হেডলাইট সবসময় অন রাখুন (ডিআরএল থাকলে অন থাকা জরুরি নয়)
রাতের যাত্রা এড়িয়ে চলুন, বিশেষ করে দুর্বল রোডে
ঈদের আনন্দ যেন কোনো দুর্ঘটনায় রূপ না নেয়, সে জন্য নিজের ও অন্যের নিরাপত্তা সবার আগে ভাবুন। একটু সচেতনতা, একটু নিয়ম মেনে চললেই ঈদের যাত্রা হতে পারে নিরাপদ ও আনন্দময়।
আপনার জীবনের চেয়ে ঈদের গন্তব্য গুরুত্বপূর্ণ নয়। নিরাপদে চালান, সঠিকভাবে ফিরুন।
এজেড