অটোমোবাইল ডেস্ক
০১ জুন ২০২৫, ১০:৫০ এএম
মোটরসাইকেল চালকদের একটি সাধারণ কিন্তু বিরক্তিকর সমস্যার নাম হলো— ব্যাটারি বসে যাওয়া। সকালে তাড়াহুড়া করে বের হওয়ার সময় হঠাৎ বাইক স্টার্ট নিচ্ছে না—এমন পরিস্থিতি কারও জন্যই সুখকর নয়। বিশেষ করে যারা শুধুমাত্র ইলেকট্রিক স্টার্ট নির্ভর, তাদের জন্য ব্যাটারি বসে যাওয়া মানেই দুশ্চিন্তা। তবে চিন্তার কিছু নেই, কারণ কিছু কৌশল মেনে চললে আপনি ব্যাটারি বসা বাইকও চালু করতে পারবেন সহজে।
মোটরসাইকেলের ব্যাটারি বসে গেলে স্টার্ট দেওয়ার ৫টি কার্যকর উপায়:
যদি আপনার মোটরসাইকেলে কিক স্টার্ট অপশন থাকে, তাহলে প্রথমেই এটি ব্যবহার করুন।
বাইককে নিউট্রাল অবস্থায় রাখুন।
ইঞ্জিন সুইচ অন করুন।
কিক প্যাডেলে কয়েকবার চাপ দিন।
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এটি কার্যকর হয়, যদি ব্যাটারি পুরোপুরি ডেড না হয়।

এই পদ্ধতিটি তখনই কাজে লাগে যখন কিক স্টার্ট না থাকে বা কাজ করছে না।
বাইককে নিউট্রাল অবস্থায় রাখুন।
বাইকটিকে ধাক্কা দিয়ে ৮-১০ কিমি/ঘণ্টা গতিতে আনুন (সাহায্যকারী থাকলে ভালো)।
তখন হঠাৎ ২য় গিয়ারে গিয়ার শিফট করুন ও ক্লাচ ছেড়ে দিন।
ক্লাচ ছাড়ার সময় হালকা থ্রটল দিন।
এতে ইঞ্জিন ঘুরে উঠবে এবং চালু হয়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: মোটরসাইকেল পরিষ্কার করার সঠিক নিয়ম জানেন না অনেকেই
যদি আপনার কাছে অন্য একটি বাইকের চার্জযুক্ত ব্যাটারি বা গাড়ি থাকে, তাহলে জাম্পার কেবল দিয়ে নিজের বাইক স্টার্ট দিতে পারেন।
দুইটি ব্যাটারির পজিটিভ ও নেগেটিভ টার্মিনাল সঠিকভাবে সংযুক্ত করুন।
ভালো ব্যাটারির বাইক চালু থাকলে নিজের বাইকে ইলেকট্রিক স্টার্ট দিন।
বাইক স্টার্ট হলে কেবল খুলে ফেলুন।
সতর্ক থাকতে হবে যাতে পোলারিটি উল্টো না হয়।

অনেক সময় ব্যাটারি বসে গেছে মনে হলেও সমস্যা হয় টার্মিনালে লুজ কানেকশন বা কার্বন জমে যাওয়ার কারণে।
ব্যাটারির সংযোগ চেক করুন।
টার্মিনালে জং বা ধুলা থাকলে পরিষ্কার করুন।
তারপর আবার স্টার্ট দেওয়ার চেষ্টা করুন।
যদি ব্যাটারির বয়স বেশি হয়ে যায় (২-৩ বছর), তাহলে সেটি হয়তো আর চার্জ রাখছে না। সে ক্ষেত্রে—
ব্যাটারি খুলে ঘরে চার্জ দিতে পারেন (যদি চার্জার থাকে)।
অথবা নতুন ব্যাটারি প্রতিস্থাপন করুন।
অতিরিক্ত লাইট বা হর্ন ব্যবহারে ব্যাটারি দ্রুত ড্রেন হয়ে যায়।
রাতে পার্কিংয়ের আগে লাইট ও সুইচ অফ আছে কিনা নিশ্চিত করুন।
৩-৪ দিন বাইক না চালালে ব্যাটারি ডিসচার্জ হতে পারে। মাঝে মাঝে স্টার্ট দিন।
মোটরসাইকেলের ব্যাটারি বসে যাওয়া অস্বস্তিকর হলেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব। কিক স্টার্ট, পুশ স্টার্ট বা জাম্প স্টার্ট—আপনার মোটরসাইকেলের গঠন ও পরিস্থিতি অনুযায়ী যেকোনো পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন। তবে নিয়মিত ব্যাটারি রক্ষণাবেক্ষণই সমস্যাটি প্রতিরোধের সবচেয়ে ভালো উপায়।
এজেড