মোটরসাইকেল শুধুই একটি যানবাহন নয়, অনেকের কাছে এটি একটি আবেগের নাম। নিয়মিত পরিচর্যা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা হলে মোটরসাইকেলের সৌন্দর্য, কর্মক্ষমতা এবং স্থায়িত্ব তিনটিই বজায় থাকে। অনেকেই না জেনে ভুলভাবে পরিষ্কার করেন, যা বাইকের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই সঠিক নিয়ম জানা ও তা মেনে চলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
মোটরসাইকেল পরিষ্কার করার সঠিক নিয়ম
১. ছায়াযুক্ত স্থানে পরিষ্কার করুন
রোদে বাইক পরিষ্কার করলে গাড়ির গায়ে পানি দ্রুত শুকিয়ে দাগ পড়ে যেতে পারে। ছায়াযুক্ত, ঠান্ডা স্থানে পরিষ্কার করা উত্তম।
২. বাইক ঠান্ডা করে পরিষ্কার করুন
ইঞ্জিন গরম থাকলে সরাসরি পানি পড়লে তাপমাত্রার তারতম্যে মেটালের ক্ষতি হতে পারে। পরিষ্কারের আগে ইঞ্জিন ঠান্ডা করুন।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: মোটরসাইকেলের স্পার্ক প্লাগ কতদিন পরপর পরিষ্কার করা উচিত?
৩. হালকা প্রেশারের পানি ব্যবহার করুন
উচ্চচাপের পানি ইলেকট্রনিক অংশে প্রবেশ করে ক্ষতি করতে পারে। হালকা চাপের পানি ব্যবহার করুন।
৪. উপযুক্ত ক্লিনার ব্যবহার করুন
বাইক পরিষ্কারের জন্য বাইক ফ্রেন্ডলি শ্যাম্পু বা ক্লিনার ব্যবহার করুন। ডিশওয়াশিং লিকুইড বা শক্ত ডিটারজেন্ট ব্যবহার না করাই ভালো।
৫. স্পঞ্জ বা মাইক্রোফাইবার কাপড় ব্যবহার করুন
স্ক্র্যাচ এড়াতে নরম কাপড় ব্যবহার করুন। ব্রাশ ব্যবহার করলে তা নরম ব্রিসলের হওয়া উচিত।
৬. চেইন ও ইঞ্জিন অংশে সরাসরি পানি দেবেন না
চেইন ও ইঞ্জিন অংশে সরাসরি পানি দেওয়া বিপদজনক। আলতো করে মুছে পরিষ্কার করুন।

৭. ধোয়ার পর ভালোভাবে মুছে ফেলুন
পানি শুকিয়ে দাগ যেন না পড়ে সে জন্য পুরো বাইক শুকনো কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন।
৮. চেইনে লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করুন
পরিষ্কার করার পর চেইনে বিশেষ মোটরসাইকেল চেইন লুব্রিকেন্ট ব্যবহার করুন। এতে চলাচল মসৃণ হয়।
৯. পরিষ্কারের পর ব্রেক ও ক্লাচ পরীক্ষা করুন
পরিষ্কারের সময় ব্রেকে পানি জমে যেতে পারে, তাই পরে ভালোভাবে পরীক্ষা করুন।
১০. নিয়মিত পরিষ্কারের সময়সূচি তৈরি করুন
সপ্তাহে ১ বার বা অন্তত ১৫ দিন পর পর বাইক পরিষ্কার করা অভ্যাস করুন।
মোটরসাইকেল পরিচর্যার অন্যতম একটি ধাপ হলো সঠিকভাবে পরিষ্কার রাখা। নিয়ম না মেনে পরিষ্কার করলে বাইকের সৌন্দর্য ও যান্ত্রিক অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই সঠিক নিয়ম মেনে বাইক পরিষ্কার করুন এবং রাখুন আপনার দুই চাকার ভালোবাসাকে দীর্ঘস্থায়ী ও ঝকঝকে।
এজেড

