অটোমোবাইল ডেস্ক
২৭ মে ২০২৫, ১১:৩৯ এএম
ঈদের ছুটি মানেই পরিবার-পরিজনের সঙ্গে সময় কাটানো, আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি যাওয়া কিংবা কাছাকাছি কোথাও ঘুরে আসা। আর এই সময়টাতে অনেকেই মোটরসাইকেল নিয়ে দূরপাল্লার ভ্রমণে বেরিয়ে পড়েন। যাত্রা যদি হয় মোটরসাইকেল নির্ভর, তবে নিরাপত্তা, আরাম এবং সচেতনতা— এই তিনটি দিক অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। কারণ ঈদের সময়ে রাস্তায় যানবাহনের চাপ থাকে বেশি, সঙ্গে থাকে আবহাওয়ার অনিশ্চয়তা।
নিচে ঈদের ভ্রমণে বাইক নিয়ে বের হওয়ার আগে ও পথে যা যা করণীয় তা পর্যায়ক্রমে তুলে ধরা হলো।

ইঞ্জিন অয়েল, ব্রেক, চেইন, হেডলাইট, টায়ার, ক্লাচ ও ব্যাটারি ঠিকঠাক আছে কি না দেখে নিন
প্রয়োজনে সার্ভিসিং করিয়ে নিন
অতিরিক্ত তেল, চাবি ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সঙ্গে নিন
ফুলফেস হেলমেট পরুন
হাত-মোজা ও জ্যাকেট ব্যবহার করুন
সানগ্লাস বা সানভাইজার রাখুন
যারা পেছনে থাকবেন, তাদের জন্যও হেলমেট নিশ্চিত করুন

ড্রাইভিং লাইসেন্স
রেজিস্ট্রেশন কপি
ইন্স্যুরেন্স কাগজ
ফিটনেস ও রোড পারমিট (যদি প্রযোজ্য হয়)

গতি ৫০-৬০ কিমি/ঘণ্টা রাখুন
হঠাৎ ব্রেক না করে ধীরে ধীরে স্পিড কমান
রাস্তার পাশে হঠাৎ চলাফেরা করা শিশু বা পশুর দিকে সতর্ক থাকুন
পূর্বেই রুট অনুযায়ী ফুয়েল প্ল্যান করুন
অতিরিক্ত পেট্রোল নিলে সুরক্ষিত বোতলে রাখুন
রিজার্ভে চালানো এড়িয়ে চলুন
বেশি বা কম বাতাস উভয়ই বিপজ্জনক। নির্ধারিত পিএসআই অনুযায়ী টায়ার চেক করে নিন। দীর্ঘ ভ্রমণে ১০০ কিমি পর পর টায়ার চেক করলে ভালো হয়।
প্রতি ১–১.৫ ঘণ্টা পর থেমে বিশ্রাম নিন
পর্যাপ্ত পানি ও হালকা খাবার সঙ্গে রাখুন
মাথা ঘুরলে বা ঘুম ঘুম ভাব এলে অবিলম্বে থেমে যান

অপরিচিত বা দূরবর্তী দুর্গম রুট একা একা যাওয়া ঠিক নয়
রাতের ভ্রমণে হাইবিম ব্যবহারে সতর্কতা রাখুন
সম্ভব হলে দিনের বেলায় যাত্রা সম্পন্ন করুন
পানির বোতল
গ্লাভস
টায়ার প্যাচ কিট ও এয়ার পাম্প
পাওয়ার ব্যাংক
টুল কিট ও স্ক্রু ড্রাইভার
হালকা রেইন কোট
বিআরটিএ-এর সূত্র মতে, গত ঈদে ৮০ হাজারেরও বেশি মোটরসাইকেল দেশের বিভিন্ন মহাসড়কে চলাচল করেছে।। এর মধ্যে অনেক দুর্ঘটনার কারণ ছিল অতিরিক্ত গতি, হেলমেট না পরা এবং বাইকের ত্রুটি।
আরও পড়ুন: ঈদে মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি গেলে যেসব বিষয়ে মানা জরুরি
ঈদ মানে আনন্দ, কিন্তু সেই আনন্দ যেন এক মুহূর্তে বিষাদে রূপ না নেয়। বাইকভিত্তিক ভ্রমণ যদি হয় সাবধানতার সঙ্গে, তবে সেটি হয়ে উঠবে জীবনের অন্যতম সুন্দর অভিজ্ঞতা।
এজেড