অটোমোবাইল ডেস্ক
২৫ মে ২০২৫, ০৫:১৭ পিএম
এই সময়ে যখন জ্বালানির দাম প্রতিনিয়ত বাড়ছে, তখন মোটরসাইকেল চালকদের মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত প্রশ্ন হচ্ছে, ‘১০০ টাকার তেলে আসলে কতদূর যাওয়া যায়’ এই প্রশ্নের উত্তর জানতেই বাস্তব রোড টেস্টের ফলাফল জানুন। যেখানে দেশের পাঁচটি জনপ্রিয় মোটরসাইকেলকে নির্দিষ্ট পরিমাণ জ্বালানিতে চালিয়ে দেখা হয়েছে কে কতদূর যেতে পারে।
এই পরীক্ষায় প্রতিটি বাইকে ১০০ টাকার অকটেন ভরা হয়েছে। বর্তমান সরকার নির্ধারিত হারে অকটেনের দাম প্রতি লিটার ১২৫ টাকা। অর্থাৎ ১০০ টাকায় পাওয়া গেছে প্রায় ০.৮ লিটার জ্বালানি। এরপর একই ধরনের রাস্তায়, প্রায় সমান ট্রাফিক ও গতিতে বাইকগুলো চালিয়ে তাদের মাইলেজ মূল্যায়ন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন ওয়েল কতদিন পরপর বদলাবেন?
Hero Splendor Plus
১০০ সিসির এই বহুল জনপ্রিয় বাইকটি সবচেয়ে বেশি মাইলেজ দিয়েছে। পরীক্ষায় এটি ১০০ টাকার তেলে প্রায় ৫৫ থেকে ৫৭ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পেরেছে। যারা প্রতিদিন বাইক চালান এবং খরচ কমাতে চান, তাদের জন্য এটি এখনও অন্যতম সেরা পছন্দ।
TVS Raider 125
আধুনিক ডিজাইন ও প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ একটি বাইক। আমাদের পরীক্ষায় এটি চলেছে প্রায় ৫০ থেকে ৫২ কিলোমিটার। এর শক্তিশালী টর্ক ও স্মার্ট ডিজাইন মাইলেজের পাশাপাশি আকর্ষণীয় ফিচারও দেয়।

Honda CB Shine SP
বাইকটি আমাদের রোড টেস্টে ৫২ থেকে ৫৪ কিলোমিটার পর্যন্ত চলেছে। এই বাইকটির রিফাইন ইঞ্জিন ও নির্ভরযোগ্য পারফরম্যান্স এটিকে দীর্ঘমেয়াদে একটি ভালো বিনিয়োগে পরিণত করে।
অন্যদিকে, Bajaj Pulsar 150 এবং Yamaha FZS V3, ১৫০ সিসি ক্যাটাগরির জনপ্রিয় বাইক হলেও, মাইলেজে কিছুটা পিছিয়ে। Pulsar বাইকটি ১০০ টাকার জ্বালানিতে ৩৮ থেকে ৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত এবং Yamaha FZS V3 প্রায় ৩৫ থেকে ৩৬ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পেরেছে। তবে এদের চালানোর অভিজ্ঞতা, ভারসাম্য এবং শক্তিশালী ইঞ্জিন পারফরম্যান্স অনেকের কাছে মাইলেজের চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
এই পরীক্ষার মাধ্যমে জানা গেল, যারা মূলত সাশ্রয়ী রাইড খোঁজেন, তাদের জন্য কম সিসির বাইক এখনো সেরা। বিশেষ করে Hero Splendor Plus, TVS Raider কিংবা Honda CB Shine – এগুলো মাইলেজের দিক দিয়ে এগিয়ে। অন্যদিকে যারা শক্তিশালী পারফরম্যান্স চান এবং মাইলেজ নিয়ে কম ভাবেন, তাদের জন্য Yamaha কিংবা Pulsar ভালো বিকল্প।
১০০ টাকার তেলে কতদূর? – প্রশ্নটি এখন শুধু হিসাব নয়, বরং এটি চালকের প্রয়োজন, পছন্দ এবং ব্যয়ের সক্ষমতার প্রতিফলনও বটে। বাইক কেনার আগে এই ধরনের বাস্তব তথ্য জানলে অনেকেরই সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে।
এজেড