মোটরসাইকেল একটি জনপ্রিয় ও কার্যকর যানবাহন, যা শহর ও গ্রামীণ এলাকায় ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। এর সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণের জন্য নিয়মিত ইঞ্জিন ওয়েল (Engine Oil) পরিবর্তন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইঞ্জিন ওয়েল ইঞ্জিনের অভ্যন্তরীণ অংশসমূহকে ঘর্ষণ থেকে রক্ষা করে এবং ইঞ্জিনকে শীতল রাখে।
ইঞ্জিন ওয়েল পরিবর্তনের আদর্শ সময়কাল
বিজ্ঞাপন
ইঞ্জিন ওয়েল পরিবর্তনের সময়কাল নির্ভর করে মোটরসাইকেলের ধরন, ইঞ্জিনের ক্যাপাসিটি (CC), ওয়েলের গুণমান এবং মোটরসাইকেল কতটা ব্যবহৃত হচ্ছে তার ওপর। সাধারণভাবে নিচের নিয়ম অনুসরণ করা যেতে পারে-

১. নতুন মোটরসাইকেল (Running Period):
প্রথম ৩০০–৫০০ কিমি চালানোর পর প্রথমবার ইঞ্জিন ওয়েল পরিবর্তন করা উচিত।
বিজ্ঞাপন
এরপর প্রতি ১০০০ কিমি পরপর আরও ২ বার ওয়েল পরিবর্তন করা উত্তম।
আরও পড়ুন: কখন বুঝবেন বাইকের ইঞ্জিন ওয়েল বদলানোর সময় হয়েছে
২. সাধারণ নিয়ম (চলমান মোটরসাইকেল):
মিনারেল বেসড ইঞ্জিন ওয়েল ব্যবহার করলে: প্রতি ১,০০০–২,০০০ কিমি পরপর বদলানো উচিত।
সেমি-সিন্থেটিক ওয়েল হলে: প্রতি ২,০০০–৩,০০০ কিমি পর।
সিন্থেটিক ওয়েল ব্যবহার করলে: প্রতি ৪,০০০–৫,০০০ কিমি পর।

৩. সময়ের ভিত্তিতে:
যদি কিমি কমও চলে, তবুও কমপক্ষে প্রতি ৩–৬ মাসে একবার ইঞ্জিন ওয়েল পরিবর্তন করা উচিত।
বিশেষ পরামর্শ:
নিয়মিত ওয়েল লেভেল চেক করা উচিত।
অতিরিক্ত গরম বা ধূলাবালি পরিবেশে ব্যবহার হলে ওয়েল দ্রুত নষ্ট হতে পারে, সে ক্ষেত্রে সময়ের আগেই পরিবর্তন করা ভালো।

ব্যবহারকারী ম্যানুয়াল অনুসরণ করা উত্তম।
ইঞ্জিন ওয়েল মোটরসাইকেলের প্রাণরস হিসেবে কাজ করে। তাই সময়মতো ইঞ্জিন ওয়েল পরিবর্তন না করলে ইঞ্জিনের কর্মক্ষমতা কমে যেতে পারে, এমনকি স্থায়ী ক্ষতিও হতে পারে। নিরাপদ ও দীর্ঘস্থায়ী মোটরসাইকেল ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট সময় ও দূরত্ব অনুযায়ী ইঞ্জিন ওয়েল পরিবর্তন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এজেড

