অটোমোবাইল ডেস্ক
২৩ মে ২০২৫, ০১:৪৫ পিএম
মোটরসাইকেল আজ কেবল একটি বাহন নয়, অনেকের জন্য এটি জীবনের অংশ। তবে এই বাহনটি চালাতে গিয়ে অসতর্কতায় ঘটে যেতে পারে বড় দুর্ঘটনা। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় হতাহতের খবর পাওয়া যায়। অথচ কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে চললেই কমানো যেতে পারে ঝুঁকি।
নিরাপদে মোটরসাইকেল চালানোর ১০টি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ জেনে নিন।
ভ্রমণ যত ছোটই হোক, হেলমেট পরা বাধ্যতামূলক। মাথায় আঘাত দুর্ঘটনার সময় সবচেয়ে বেশি প্রাণঘাতী হতে পারে। সঠিক সাইজের, মানসম্মত ও শক্তিশালী হেলমেট ব্যবহার করুন।
প্রয়োজনের চেয়ে বেশি গতি দুর্ঘটনার প্রধান কারণ। রাস্তার অবস্থা ও ট্রাফিক অনুযায়ী গতি নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত। বেশি গতিতে নিয়ন্ত্রণ হারানো খুবই সাধারণ ব্যাপার।

বাঁক নিতে গেলে বা লেন পরিবর্তনের সময় সবসময় ইন্ডিকেটর ব্যবহার করুন। রাতে হেডলাইট, টেইললাইট ও ব্রেকলাইট ঠিকভাবে কাজ করছে কি না তা নিশ্চিত করুন।
ব্রেক, টায়ার, ক্লাচ, হেডলাইট, টার্ন সিগন্যাল, হর্ন ইত্যাদি নিয়মিত চেক করুন। যেকোনো ত্রুটি থাকলে দ্রুত সারিয়ে নিন।
হঠাৎ ব্রেক, র্যাশ ড্রাইভিং বা অন্য গাড়িকে ওভারটেক করার প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব বিপজ্জনক। নিজে ঠাণ্ডা মাথায় চালান এবং অন্য চালকদের সম্মান করুন।
চালানোর সময় ফোনে কথা বলা বা গান শোনা আপনার মনোযোগ বিঘ্নিত করে এবং প্রতিক্রিয়া সময় কমিয়ে দেয়। এটা একপ্রকার আত্মহত্যার শামিল।
হেলমেটের পাশাপাশি জ্যাকেট, গ্লাভস, ফুল প্যান্ট ও কভারড জুতা পরা নিরাপদ রাইডের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো আঘাতের তীব্রতা কমায়।

আবহাওয়া, রাস্তার গর্ত, বালি, তেল বা পানি থাকলে বিশেষ সতর্ক থাকুন। এগুলো গ্লাইড করার ঝুঁকি বাড়ায়।
লাল সিগন্যাল অমান্য করা, ওয়ান ওয়ে বা ফুটপাতে বাইক চালানো কেবল বেআইনি নয়, মারাত্মক বিপজ্জনকও বটে।
আরও পড়ুন: মোটরসাইকেলে ডিস্ক ব্রেক নাকি ড্রাম ব্রেক ভালো?
দুই জনের বেশি আরোহী বা ভারী মাল বহনের ফলে ভারসাম্য হারানো খুবই সাধারণ। বাইকের সক্ষমতা অনুযায়ী লোড দিন।
নিজে সতর্ক হলে শুধু নিজের জীবনই নয়, অন্য পথচারী ও চালকদের জীবনও রক্ষা পায়। তাই প্রতিটি রাইডে নিজেকে ও অন্যকে গুরুত্ব দিন। নিরাপদে চলুন, সুস্থ থাকুন।
এজেড