images

অটোমোবাইল

মোটরসাইকেলে সিনথেটিক নাকি মিনারেল ইঞ্জিন ওয়েল ব্যবহার করবেন?

অটোমোবাইল ডেস্ক

১৭ মে ২০২৫, ০৮:২২ এএম

বাংলাদেশের মোটরসাইকেল ব্যবহারকারীদের মধ্যে ইঞ্জিন ওয়েল নিয়ে সচেতনতা বাড়লেও এখনও সিনথেটিক ও মিনারেল ওয়েল নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে। কোন ওয়েল মোটরসাইকেলের জন্য উপযোগী—সিনথেটিক নাকি মিনারেল—এ প্রশ্নটি অনেক চালকের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইঞ্জিনের স্বাস্থ্য, পারফরম্যান্স এবং জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য সঠিক ধরনের ইঞ্জিন ওয়েল বাছাই করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

oil4

সিনথেটিক ইঞ্জিন ওয়েল

সিনথেটিক ইঞ্জিন ওয়েল আধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি এবং উচ্চ তাপমাত্রায়ও ইঞ্জিনকে সুরক্ষা দেয়। এটি ইঞ্জিনে কম জমাট বেঁধে দীর্ঘ সময় পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। দীর্ঘ মেয়াদী রাইড এবং হাই পারফরম্যান্স বাইকের জন্য সিনথেটিক ওয়েল অত্যন্ত উপযোগী বলে মনে করেন মোটরসাইকেল মেকানিক ও বিক্রেতারা।

তবে এর দাম তুলনামূলক বেশি হওয়ায় অনেক চালকই এটি এড়িয়ে যান।

oil

মিনারেল ইঞ্জিন ওয়েল

অন্যদিকে মিনারেল ইঞ্জিন ওয়েল প্রাকৃতিক তেল থেকে প্রক্রিয়াজাত হওয়ায় এর দাম অপেক্ষাকৃত কম। সাধারণ শহুরে বাইক ১০০-১৫০ সিসির মতো বাইকের জন্য এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে এই ওয়েল দ্রুত পরিবর্তন করা দরকার এবং উচ্চ গতিতে বা দীর্ঘ রাইডে এটি ইঞ্জিনে অতিরিক্ত চাপ ফেলতে পারে।

ব্যবহারকারীদের মতামত

ঢাকার গ্যারেজ ও সার্ভিস সেন্টারগুলোতে কথা বলে জানা গেছে, বেশিরভাগ চালকই ওয়েলের ধরন নিয়ে সচেতন না। গ্যারেজ কর্মচারীর পরামর্শেই অনেকে ওয়েল বাছাই করেন।

আরও পড়ুন: মোটরসাইকেলের এবিএস কী কাজে লাগে?

নবীন বাইক চালক রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি এতদিন মিনারেল ওয়েলই ব্যবহার করতাম। পরে জানতে পারলাম সিনথেটিক ওয়েল আমার বাইকের জন্য অনেক ভালো। এখন সিনথেটিক ব্যবহার করছি এবং ইঞ্জিনের পারফরম্যান্সে বড় পার্থক্য দেখছি।’

oil2

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ

বাংলাদেশ মোটরসাইকেল মেকানিক সমিতির সভাপতি মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘বাইক চালকদের উচিত তাদের বাইকের ম্যানুয়াল অনুযায়ী ওয়েল নির্বাচন করা। যদি হাইওয়েতে বেশি চলাচল হয় বা বাইকের সিসি ২০০ এর বেশি হয়, সিনথেটিক ওয়েল সবচেয়ে ভালো। অন্যদিকে, বাজেট সচেতন চালক বা সাধারণ শহর এলাকায় ব্যবহারের জন্য মিনারেল ওয়েল গ্রহণযোগ্য। তবে ওয়েল পরিবর্তনে অবহেলা করা উচিত নয়।’

সচেতনতা বাড়ানোর দাবি

বাজারে সিনথেটিক ও মিনারেল ওয়েল নিয়ে প্রচারণা ও গ্রাহক সচেতনতা বাড়াতে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি এবং বিক্রেতাদের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন মোটরসাইকেল বিশেষজ্ঞরা।

এজেড