images

অটোমোবাইল

কখন বুঝবেন বাইকের ইঞ্জিন ওয়েল বদলানোর সময় হয়েছে

অটোমোবাইল ডেস্ক

০৫ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২৪ এএম

images

মোটরসাইকেলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ইঞ্জিন অয়েল। কিন্তু সেটা যদি ঠিক সময় না বদলানো হয় তাহলে কী হতে পারে তা জানা আছে?

যেকোনও মোটরবাইকের হৃদপিণ্ড তার ইঞ্জিন। আর সেটাই যদি সময় মতো খেয়াল না রাখা হয় তাহলে ভবিষ্যতে বড়সড় বিপদের মুখে পড়তে পারেন আপনি। তাই বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন ঠিক সময় অন্তর বাইকের ইঞ্জিন অয়েল যেন পরিবর্তন করা হয়। কিন্তু কথা হল অনেকেই জানেন না কখন বাইকের ইঞ্জিন বদলানো উচিত?

আরও পড়ুন: গরমে গাড়ির যত্ন

এ নিয়ে ভিন্ন ধারণা রয়েছে বাজারে, সাধারণত ২০০০ কিমির পর ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। তবে এই সীমারেখা ছাড়াও বেশ কিছু লক্ষণ রয়েছে যেখান থেকে বুঝতে পারবেন ইঞ্জিন অয়েল ঠিক কখন পরিবর্তন করা উচিত।

মোটরসাইকেলের ইঞ্জিন অয়েল সম্পর্কে এই ৪ বিষয় জেনে রাখুন।

ইঞ্জিনের আওয়াজ

যদি মোটরবাইকের ইঞ্জিনের আওয়াজ অস্বাভাবিক হয় তাহলে বুঝবেন ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করতে হবে। আসলে ইঞ্জিনের ভিতরে থাকা যন্ত্রপাতিগুলো যখন কম লুব্রিকেট থাকে তখন স্বাভাবিকের থেকে বেশি আওয়াজ তৈরি করে। তাই এই সময় ইঞ্জিন লুব্রিকেট করা অর্থাৎ ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করা জরুরি।

engine

অয়েলের রঙ কালো হয়ে যাওয়া

ইঞ্জিন অয়েল পরীক্ষা করার সময় মোটরসাইকেলে ডিপস্টিক দেওয়া হয়। বাইকের ইঞ্জিন যদি ঠান্ডা হয়ে যায় তাহলে ডিপস্টিক দিয়ে ইঞ্জিন অয়েল যাচাই করুন। যদি দেখেন ইঞ্জিন অয়েলের রঙ কালো হয়ে যায় তাহলে বুঝবেন এতে ময়লা এবং ধুলো-বালি জমেছে। এ ক্ষেত্রে ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করা দরকার।

ইঞ্জিন অয়েল যাচাই

আপনি প্রয়োজনে ইঞ্জিন অয়েল লেভেল অথবা ডিপস্টিক অয়েল লেভেল যাচাই করতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন একটি মোটামুটি লেভেল থেকে কমে যেন না যায়। যদি দেখেন লেভেল কম তাহলে ইঞ্জিন অয়েল বদলে নেওয়া উচিত।

ওয়ার্নিং লাইট

বর্তমানে যে সব মডার্ন মোটরসাইকেল বিক্রি হয় সেগুলোতে এক ধরণের সেন্সর থাকে যা ইনস্ট্রুমেন্ট ক্লাস্টারে থাকা ওয়ার্নিং লাইটের মাধ্যমে তেলের অবস্থা জানাতে পারে। এই ফিচার যদি আপনার মোটরসাইকেলে থাকে তাহলে বুঝতে পারবেন ঠিক কোন সময় ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করা উচিত।

ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন না করলে?

ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন না করলে ইঞ্জিন গরম হয়ে যেতে পারে, ভেতরে থাকা যন্ত্রগুলো লুব্রিকেট না হওয়ায় তাদের মধ্যে ঘর্ষণ তৈরি হয়। সর্বোপরি বাইকের পারফরম্যান্স কমে যায়। তাই প্রয়োজন অনুসারে বাইকের ইঞ্জিন অয়েল দ্রুত বদলে নেওয়া উচিত।

এজেড