images

অটোমোবাইল

এই সস্তার গাড়ি বিক্রি হয়েছে ৫০ লাখ 

অটোমোবাইল ডেস্ক

২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫৫ এএম

প্রাইভেটকার কেনার সময় ক্রেতাদের পছন্দ সাশ্রয়ী দামে ব্র্যান্ড নিউ কার। একইসঙ্গে মাইলেজের চিন্তাটাও থাকে। এসব দিক বিবেচনায় একটি গাড়ির কথা বলতেই হয়। যে গাড়ি কমছে কম ৫০ লাখ ইউনিট বিক্রি হয়েছে। যা রীতিমতো রেকর্ড হয়েছে।

২৪ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাজারে দাপট রয়েছে এই চার চাকার। না সুইফট বা ওয়াগনআর নয়। এই দুই গাড়ি বেশ জনপ্রিয় ভারতে। কিন্তু, আরও একটি গাড়ি রয়েছে যা এই দুই চার চাকা তো বটেই বহু জনপ্রিয় গাড়ির থেকেও বেশি বিক্রি হয়েছে।

আরও পড়ুন: মারুতি থেকে মাহিন্দ্রা— কোন গাড়ি নিরাপদ?

গাড়ির কথা উঠলে সাধারণত মারুতির নাম থাকেই। দেশে বছরের পর বছর ধরে সেরা গাড়ি কোম্পানির তকমা ধরে রেখেছে মারুতি সুজুকি। আর এই কোম্পানিরই একটি গাড়ি ৫০ লাখের বেশি বিক্রি হয়েছে ভারতে। না সুইফট বা ওয়াগনআর নয়, এটি হল মারুতি সুজুকি অল্টো। ২০০০ সালে গাড়িটি লঞ্চ করে সংস্থা।

car

দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে মধ্যবিত্তের ভরসা ও সঙ্গী হয়ে উঠেছে অল্টো। মধ্যবিত্তের আশা ও ভরসা গাড়িটি ৫০ লাখের বেশি বিক্রি হয়ে গিয়েছে এখনও অবধি। যার ধারে কাছে নেই সুইফট, ওয়াগন আর, টাটা নেক্সন, পাঞ্চ, মাহিন্দ্রা স্করপিও বা হুন্দাইয়ের কোনও গাড়ি।

বেস্ট সেলিং গাড়ি বলতে মারুতি সুজুকি ওয়াগনআর, হুন্দাই গ্র্যান্ড আইটেন ও টাটা পাঞ্চকে নিয়ে চর্চা হয় এখন। কিন্তু, এই তিন গাড়ির থেকেও বেশি বিক্রি হয়েছে মারুতি অল্টো। গাড়ি বাজারে বহু জনপ্রিয় নাম রয়েছে যেমন টয়োটা ইনোভা, মারুতি সুইফট, হুন্দাই ক্রেটা কিংবা মাহিন্দ্রা স্করপিও। কিন্তু, অল্টোর নাম বললেই এক ডাকেই সবাই চিনে যায়।

২০০০ সালে আনুষ্ঠানিক ভাবে লঞ্চ হয় এই গাড়ি। এখন পর্যন্ত ৫ মিলিয়ন বা ৫০ লাখেরও বেশি ইউনিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে অল্টোর। যা এককথায় রেকর্ড এবং সেই রেকর্ড এখনও কেউ ভাঙতে পারেনি। আগামীদিনে কোনও গাড়ি ভাঙতে পারবে বলেও আপাতত মনে হচ্ছে না।

alto

মারুতি সুজুকি অল্টোর পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিক্রি হওয়া গাড়ি হল হুন্দাই গ্র্যান্ড আইটেন। যা ৩৩ লাখ বিক্রি হয়েছে ভারতে। মারুতি সুজুকি অল্টোর আরও একটি চমকে দেওয়া তথ্য হল, ২০০০ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত টানা ১৭ বছর ভারতের বেস্ট সেলিং গাড়ি ছিল অল্টো।

মাঝে টাটা ন্যানো, টাটা ইন্ডিকার মতো গাড়ি জোরদার টক্কর দিলেও দীর্ঘ সময়ের জন্য তারা বাজারে টিকতে পারেনি। কিন্তু, মারুতি অল্টোর দাপট থেকে গিয়েছে। যা এখনও চলছে বাজারে। গাড়ির চাহিদা আগের তুলনায় অনেকটা কমে গেলেও বিক্রি হচ্ছে নানা শহরে।

বর্তমানে মারুতি অল্টো কে১০ গাড়ি বিক্রি করে মারুতি। কারণ গত বছর অল্টো ৮০০ বন্ধ করে দেয় সংস্থা। চাহিদা তলানিতে নেমে যাওয়ায় এই সিদ্ধান্ত। কিন্তু, অল্টো নাম এখনও মানুষের মনে অমলিন। যেই নাম মোছার নয়। কারণ বহু মধ্যবিত্তের চার চাকার স্বপ্ন পূরণ করেছে অল্টো। 

এজেড