নিজস্ব প্রতিবেদক
১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:০৯ এএম
দায়িত্ব পাওয়ার পর আজ সচিবালয়ে প্রথম অফিস করছেন পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী। রোববার (১৪ জানুয়ারি) সকালে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সেখানে দুর্নীতি বা অনিয়মের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দেন তিনি। এ সময় সাতদিনের মধ্যে ১০০ দিনের পরিকল্পনা দেবেন বলে জানান মন্ত্রী।
সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, বায়ুদূষণ প্রতিরোধ করতে হবে। বন সংরক্ষণ করতে হবে। টেকসই উন্নয়নের জন্যই পরিবেশ রক্ষা করতে হবে। এখানে দুর্নীতি বা অনিয়ম আমরা প্রশ্রয় দেব না। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, সেই অগ্রগতিকে টেকসই করতে হবে।
ইশতেহার বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়মিত মনিটরিং করা হবে জানিয়ে বন ও পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের নির্বাচনী ইশতেহার পূরণ করব। নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়মিত মনিটরিং করা হবে। কাজের জন্য কোনো কাঠামো বদলের দরকার হলে সেটা করতে হবে। আমাদের কাজের সাথে যা দরকার সেটা করব। আমরা চাই এটা যাতে এক নম্বর মন্ত্রণালয় হয়। আমার পক্ষ থেকে আইনের প্রতি শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেব। মিডিয়ার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করব।’
সাবের হোসেন বলেন, সাতদিনের মধ্যে ১০০ দিনের পরিকল্পনা দিতে চাই। এছাড়াও অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করব।
বিএনপিসহ তাদের সমমনা দলগুলোর বর্জনের মধ্যেই গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ২২২টি আসনে জয়লাভ করে। আর স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হয় ৬২টি আসনে। এছাড়া জাতীয় পার্টি ১১টিতে এবং অন্যান্য দল থেকে তিনজন সংসদ সদস্য হন।
গত বুধবার সকালে জাতীয় সংসদে শপথ গ্রহণ করেন নির্বাচিত ২৯৮ জন সংসদ সদস্য। এরপর সেদিনই ৩৭ সদস্য বিশিষ্ট মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। পরদিন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন নতুন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের শপথবাক্য পাঠ করান। এরপর মন্ত্রিসভায় কে কোন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান তা জানিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয় সাবের হোসেন চৌধুরীকে।
সাবের হোসেন ১৯৯৬ সালে ঢাকা-৬ নির্বাচনী আসন থেকে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নৌপরিবহন উপমন্ত্রী হিসেবে ১৯৯৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে ১৯৯৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর থেকে ২০০১ সালের ১৫ জুলাই পর্যন্ত তিনি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সাবেক রাজনৈতিক সচিব ছিলেন। ২০০১ সালের ডিসেম্বর মাসে তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যকরী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত হন।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আসন পুনর্বণ্টনের ফলে তার নির্বাচনী এলাকাটি হয় ঢাকা-৯ আসন। ওই নির্বাচনে তিনি বিএনপির শিরিন সুলতানাকে হারিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দশম জাতীয় নির্বাচনে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। একাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি একই আসন থেকে পুনরায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
এমআর