শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ঢাকা

‘গা ঝলসানো’ গরম থেকে মুক্তি মিলবে কবে?

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৫৫ এএম

শেয়ার করুন:

‘গা ঝলসানো’ গরম থেকে মুক্তি মিলবে কবে?

ঢাকাসহ প্রায় সারাদেশেই বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। তীব্র গরম অনুভূত হওয়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কয়েকদিন ধরেই তপ্ত হাওয়ায় ঘরে বাইরে হাঁসফাঁস অবস্থা। গরমে হিট স্ট্রোকসহ নানা শারীরিক সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় কয়েকজনের মৃ্ত্যুর খবর এসেছে। এমন অবস্থায় দুই দফায় ৭২ ঘণ্টা করে ‘হিট অ্যালার্ট’ বা তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি করে আবহাওয়া অধিদফতর। গরমের কারণে ইতোমধ্যেই স্কুল-কলেজে সাত দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। এছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে ক্লাস চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ‘গা ঝলসানো’ এমন গরম থেকে কবে মুক্তি মিলবে, তা জানার আগ্রহ মানুষের। কিন্তু আবহাওয়া অফিসের বার্তা অনুযায়ী চলতি মাসে এমন গরম থেকে মুক্তি পাওয়ার তেমন সম্ভাবনা নেই। মে মাসের প্রথম সপ্তাহে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার থেকে আরও তিনদিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হবে। কারণ আপাতত বড় পরিসরে বৃষ্টি হয়ে তাপপ্রবাহ দূর হওয়ার সম্ভাবনা নেই।’


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন

অব্যাহত থাকবে তাপপ্রবাহ, বাড়তে পারে হিট অ্যালার্ট

আজিজুর রহমান আরও বলেন, ‘এপ্রিল মাসে তাপপ্রবাহ পুরোপুরি দূর হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। আমরা দেখছি যে এটা মে মাসের ২-৩ তারিখ পর্যন্ত চলবে। এরপর হয়তো বিভিন্ন অঞ্চলে কিছু বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এর আগে পর্যন্ত বড় পরিসরে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। স্থানীয়ভাবে বিচ্ছিন্নভাবে কোথাও কোথাও বৃষ্টি হতে পারে।’

আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক আরও বলেন, ‘আপাতত দিনের তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হওয়ার কোনো লক্ষণ নেই। ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত তাপমাত্রা আর খুব বেশি বাড়ার সম্ভাবনা নেই।’

tem-3চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বাংলাদেশের কিছু জেলায় তাপপ্রবাহ বইতে শুরু করে। এরপর গত দুই সপ্তাহে তাপপ্রবাহ প্রায় সারা দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে দেখা যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই যশোরে চলতি বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


এছাড়া চুয়াডাঙ্গায় ৪২ দশমিক দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। আর ঢাকায় এ বছর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আরও পড়ুন

জনজীবনে হাঁসফাঁস, আপাতত নেই ‘সুখবর’

বাংলাদেশে সাধারণত কোনো স্থানের তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হলে সেখানে সতর্কবার্তা জারি করা হয়। কোনো বিশাল এলাকাজুড়ে যখন তাপপ্রবাহ হয়, তখন এমন সতর্কবার্তা দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে বাতাসে তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কম হলে, সেটিকে মৃদু তাপপ্রবাহ ধরে থাকেন আবহাওয়াবিদরা।

Hot3_20240423_220339467এছাড়া তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে হলে, সেটিকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়ে থাকে। আর তাপমাত্রা যদি ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে উঠে যায়, তখন তাকে বলা হয় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ। গত দুই সপ্তাহে যশোর এবং চুয়াডাঙ্গা জেলায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহ দেখা গেছে।

আরও পড়ুন

দাবদাহের খবর পড়ার সময় গরমে অজ্ঞান উপস্থাপিকা!

আবহাওয়া অধিদফতরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বুধবার খুলনা বিভাগসহ দিনাজপুর, নীলফামারী, রাজশাহী, পাবনা, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ বরিশাল বিভাগ এবং রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। এটা অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক আজিজুর রহমান।

এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর