এবার মর্যাদাপূর্ণ ‘বেগম রোকেয়া পদক-২০২৩’ পাচ্ছেন পাঁচজন নারী। নারী শিক্ষা, নারীর অধিকার, নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, সাহিত্য ও সংস্কৃতির মাধ্যমে নারী জাগরণ এবং পল্লী উন্নয়নে অবদানের সর্বোচ্চ স্বীকৃতিস্বরূপ তারা এই পদক পাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা জানান, আগামী ৯ ডিসেম্বর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে পদকপ্রাপ্তদের হাতে রোকেয়া পদক তুলে দেওয়া হবে।
বিজ্ঞাপন
এবারের পদকপ্রাপ্ত নারীরা হলেন: নারী শিক্ষায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম নারী উপাচার্য খালেদা একরাম (মরণোত্তর), নারী অধিকারে রংপুর জেলার ডা. হালিদা হানুম আখতার, নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নেত্রকোনার কামরুন্নেছা আশরাফ দিনা (মরণোত্তর), পল্লী উন্নয়নে ঠাকারগাঁও জেলার রনিতা বালা এবং নারী জাগরণে লক্ষ্মীপুরের নিশাত মজুমদার।
প্রতিমন্ত্রী জানান, পদকপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ১৮ ক্যারেট মানের ২৫ গ্রাম স্বর্ণ নির্মিত একটি পদক, পদকের রেপ্লিকা, চার লাখ টাকার চেক ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন
ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, জাতির পিতা ১৯৭২ সনে সংবিধানে নারীর সমঅধিকার নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে বাংলাদেশে নারী উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নের প্রতিষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেন। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত নারীদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে নারী পুনর্বাসন বোর্ড গঠন করেন। মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত নারীদের গোপনীয়তা রক্ষার জন্য ভারত, জাপান, জার্মান, ব্রিটেন ও রাশিয়া থেকে ডাক্তার এনে চিকিৎসা করেন। নির্যাতিত মহিলাদের বীরাঙ্গনা উপাধি দিয়ে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেন ও তাদের যুদ্ধ শিশুদের পুনর্বাসন করেছিলেন।
নারীদের জন্য বর্তমান সরকারের নেওয়া পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার তাদের বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে গেজেট জারি করেছে। নির্যাতিত কন্যাদের বিয়ের ব্যবস্থা করে পারিবার ও সমাজে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেন। বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সনে প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় নারী শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সমবায়, কৃষি, কুটিরশিল্পসহ বিভিন্ন বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত করেন। নারীদের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক ক্ষমতায়নের জন্য চাকরিতে ১০ শতাংশ কোটার ব্যবস্থা রাখেন।
জেবি