শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ঢাকা

সরকারি সহযোগিতায় দেশে ইলেকট্রিক গাড়ি-বাইক তৈরি করবে রানার

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর ২০২২, ০৯:৫৪ এএম

শেয়ার করুন:

সরকারি সহযোগিতায় দেশে ইলেকট্রিক গাড়ি-বাইক তৈরি করবে রানার

দেশে পরিবেশবান্ধব টেকসই ও নাগরিককেন্দ্রিক উদ্ভাবনী প্রযুক্তিসম্পন্ন অটোমোবাইল শিল্পের গবেষণা ও উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করবে এটুআই ও রানার অটোমোবাইলস। এরই ধারাবাহিকতায় শিগগিরই সরকারি সহযোগিতায় দেশে ইলেকট্রিক গাড়ি ও বাইক তৈরি করবে রানা। 

আরও পড়ুন: বাইক বিডি: মোটরসাইকেলের সব খবর জানুন


বিজ্ঞাপন


এজন্য বুধবার আগারগাঁও-এর আইসিটি টাওয়ারে এক সমঝোতা হয়। সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতায় বাস্তবায়নাধীন এবং ইউএনডিপি’র সহায়তায় পরিচালিত ‘এটুআই’।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী  জুনাইদ আহমেদ পলক। বিশেষ অতিথি ছিলেন, রানার অটোমোবাইলসের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান।

runnerনিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর এবং রানার অটোমোবাইলসের এমডি ও সিইও রিয়াজুল হক চৌধুরী। 

সমঝোতা স্মারকের আওতায়, দেশে একটি টেকসই, পরিবেশবান্ধব এবং নাগরিককেন্দ্রিক অটোমোবাইল শিল্প গড়ে তোলার জন্য এবং উদ্ভাবনের সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করবে এটুআই-রানার অটোমোবাইলস পিএলসি। যেখানে এটুআই বিশ্বের বিকাশমান প্রযুক্তির আলোকে বর্তমান ও ভবিষ্যতের চাহিদার মূল্যায়ন করে দেশের অটোমোবাইল খাতের জন্য কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং উদ্ভাবন অন্বেষণ ও গবেষণায় সহায়তা প্রদান করবে। 


বিজ্ঞাপন


অন্যদিকে, এসব গবেষণার মাধ্যমে প্রাপ্ত সম্ভাবনাময় উদ্ভাবনগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাণিজ্যিক পণ্যের ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবে রানার। যার মাধ্যমে দেশের সরকারি-বেসরকারিভাবে অটোমোবাইলস খাতে জড়িত প্রতিষ্ঠানকে সম্পৃক্ততায় ভবিষ্যতের সম্ভাব্য বাজারের চাহিদার আলোকে বিদ্যুৎচালিত যানবাহনসহ উন্নত প্রযুক্তির ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ডের প্রচলন সম্ভব হবে। 

এছাড়াও সমঝোতা স্মারকের সফল বাস্তবায়নের জন্য এটুআই-আইল্যাব ও রানার উভয়ই একজন করে ফোকাল মনোনীত করবেন। 

অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে ২০৪১ সালের উন্নত আয়ের উদ্ভাবনী ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমাদেরকে আইডিয়েশন থেকে বাণিজ্যিকীকরণের দিকে যেতে হবে। এ রূপান্তরের সহায়ক পরিবেশ বিনির্মাণে এটুআই-এর ইনোভেশন ল্যাবের মাধ্যমে দেশের উদ্ভাবক ও গবেষকদের মেধা ও প্রযুক্তিকে কাজে লাগানোর জন্য দেশের বেসরকারি খাতকে সম্পৃক্ত করতে সরকারের পক্ষ থেকেও সহায়তা প্রদান করা হবে।

runnerসাশ্রয়ী, টেকসই, জ্ঞানভিত্তিক উদ্ভাবনী বাংলাদেশ গড়ে তুলতে বিদ্যুৎচালিত যানবাহনের উপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে প্রধানমন্ত্রী আইসিটিকে ২০২২ সালের প্রোডাক্ট অব দ্য ইয়ার ঘোষণা করেছেন। দেশের অটোমোবাইলস প্রতিষ্ঠানগুলো আলাদা আলাদা গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্র না করে এটুআই-ল্যাবের মাধ্যমে একটি অত্যাধুনিক ল্যাব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কেন্দ্রীয়ভাবে গবেষণা ও উন্নয়ন (আরঅ্যান্ডডি) করে খুব সহজে ও কম খরচে এই খাতে জড়িত দেশের অন্য বেসরকারি খাত ও অটোমোবাইলস কোম্পানিগুলোকে সহযোগিতা প্রদান করা সম্ভব হবে। এভাবে দেশের স্বল্প সম্পদকে কাজে লাগিয়ে দেশের অটোমোবাইলস শিল্পকে আরো বেশি শক্তিশালী করে গড়ে তুলার সম্ভাবনা তৈরি হবে।  

সভাপতির বক্তব্যে এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, উদ্ভাবনী, টেকসই, পরিবেশবান্ধব ও নাগরিক সহায়ক অটোমোবাইলস শিল্প গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে এটুআই। এলক্ষ্যে চতুর্থশিল্পবিপ্লবের উপযোগী নতুন নতুন পণ্য উন্নয়নে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নীতিগত সহায়তা প্রদানে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। 

এটুআই-আইল্যাব-এর ডিভাইস ইনোভেশন এক্সপার্ট তৌফিকুর রহমানের সঞ্চালনায় সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, এটুআই ও রানার অটোমোবাইলস পিএলসি এর সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর