বিশ্বজুড়ে আইফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা বিপুল হলেও সব দেশের গ্রাহকের জন্য অ্যাপলের নীতি এক নয়। বাইরে থেকে দেখলে এক নিয়ম মনে হলেও বাস্তবে রয়েছে বড় ধরনের পার্থক্য। আমেরিকা ও কানাডার মতো দেশে আইফোন কিনে দীর্ঘ সময় ব্যবহার করার পরও তা ফেরত দেওয়ার সুযোগ থাকলেও ভারত, বাংলাদেশসহ বেশ কিছু দেশে সেই সুবিধা পান না গ্রাহকেরা। এই দ্বিচারিতাই এখন নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রে।
আমেরিকা ও তার প্রতিবেশি কয়েকটি দেশে অ্যাপল গ্রাহকদের জন্য চালু রেখেছে ১৪ দিনের রিটার্ন পলিসি। অর্থাৎ, কোনও গ্রাহক আইফোন কেনার পর ১৪ দিন ব্যবহার করে যদি সেটি পছন্দ না করেন, তাহলে বিনা প্রশ্নে ফোনটি ফেরত দিয়ে পুরো টাকা ফিরে পান। এই নীতির আওতায় ডিভাইস ব্যবহৃত হলেও কোনও কাটছাঁট ছাড়াই অর্থ ফেরত দেওয়া হয়।
বিজ্ঞাপন
এমনকি বিশেষ সময়ের ছাড়ে অ্যাপল এই সুবিধা আরও বাড়িয়ে দেয়। আমেরিকায় ব্ল্যাক ফ্রাইডে সেল চলাকালীন রিটার্ন পিরিয়ড ১৪ দিনের বদলে বাড়িয়ে ৪৫ দিন পর্যন্ত করা হয়। এই সময়ের মধ্যে গ্রাহক প্রায় দেড় মাস ফোন ব্যবহার করার পরও সেটি অ্যাপল স্টোরে ফেরত দিলে সম্পূর্ণ অর্থ ফেরত পান। কোনও অতিরিক্ত প্রশ্ন বা জটিলতা ছাড়াই এই সুবিধা দেওয়া হয়।
কিন্তু ভারতীয় গ্রাহকদের ক্ষেত্রে চিত্রটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। দেশে আইফোনের বাজার দ্রুত বাড়লেও এই ধরনের রিটার্ন সুবিধা এখনো চালু করেনি অ্যাপল। ভারতের গ্রাহকদের জন্য সংস্থার রয়েছে আলাদা একটি প্রাইস প্রোটেকশন পলিসি, যেখানে সর্বোচ্চ ১০ হাজার রুপি পর্যন্ত ফেরত পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।

এই প্রাইস প্রোটেকশন সুবিধা পেতে হলে গ্রাহককে আইফোন কেনার মূল রসিদ দেখাতে হয় এবং সরাসরি অ্যাপল স্টোরে যোগাযোগ করতে হয়। প্রয়োজনে অ্যাপলের কাস্টমার সাপোর্ট নম্বর ০০০৮০০০৪০১৯৬৬-তে ফোন করেও বিস্তারিত তথ্য জানা যায়। তবে এই সুবিধার ক্ষেত্রেও কিছু শর্ত রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বিশেষ ছাড় বা অফারে কেনা আইফোনের ক্ষেত্রে এই টাকা ফেরতের সুযোগ প্রযোজ্য নয়। অর্থাৎ, উৎসবকালীন সেল বা নির্দিষ্ট ডিসকাউন্টে কেনা ডিভাইস হলে প্রাইস প্রোটেকশন দাবি করা যাবে না। ফলে ভারতীয় গ্রাহকদের জন্য অ্যাপলের রিটার্ন ও রিফান্ড নীতি তুলনামূলকভাবে অনেকটাই সীমিত।
আরও পড়ুন: আইফোনে গুগল ক্রোম ব্যবহারকারীদের সতর্ক করল অ্যাপল
সব মিলিয়ে, একদিকে যেখানে আমেরিকা ও কানাডার গ্রাহকেরা ৪৫ দিন ব্যবহার করেও আইফোন ফেরত দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন, সেখানে ভারতীয় গ্রাহকেরা এখনো সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত। বিপুল বাজার ও ক্রেতা থাকা সত্ত্বেও কেন এই বৈষম্য, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে।
এজেড

