বিশ্বজুড়ে যোগাযোগের ধরণ বদলে দিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp)। প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ এই অ্যাপ ব্যবহার করছেন বন্ধু, আত্মীয়, সহকর্মী এবং ক্লায়েন্টদের সঙ্গে মেসেজ, কল, ভিডিও বা ডকুমেন্ট শেয়ার করার জন্য। কিন্তু অনেকেই জানেন না এই জনপ্রিয় অ্যাপ ব্যবহার করার সময় কিছু ভুল করলে হতে পারে জেল, জরিমানা এমনকি অ্যাকাউন্ট ব্লকও।
অল্প অসাবধানতা থেকেও বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই, হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করার সময় কোন কোন কাজ ভুলেও করবেন না, তা জেনে নেওয়া জরুরি।
বিজ্ঞাপন
১. ভুয়া সরকারি নথি শেয়ার করা
হোয়াটসঅ্যাপে এখন অনেকেই আধার, পাসপোর্ট বা সরকারি নথির কপি শেয়ার করেন। কিন্তু নকল বা জাল নথি তৈরি ও প্রচার করা একটি অপরাধ, যা সাইবার আইন অনুযায়ী জেল ও জরিমানার যোগ্য।
যেকোনও সরকারি নথি শেয়ার করার আগে তার সত্যতা যাচাই করা উচিত। যদি কোনও কপি সন্দেহজনক মনে হয়, তবে তা কখনও ফরওয়ার্ড বা শেয়ার করবেন না।
২. উস্কানিমূলক কন্টেন্ট শেয়ার করা
বিজ্ঞাপন
ধর্ম, বর্ণ বা সম্প্রদায়ের অনুভূতিতে আঘাত করতে পারে—এমন ছবি, ভিডিও বা মিম শেয়ার করা আইনত অপরাধ।
হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এই ধরনের কন্টেন্ট ছড়ালে ঘৃণামূলক অপরাধ (Hate Crime) হিসেবে গণ্য হয় এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা হতে পারে।
তাই, কোনও খবর বা ছবি শেয়ার করার আগে তার উৎস ও প্রভাব সম্পর্কে সচেতন থাকুন।

৩. হুমকিমূলক বার্তা পাঠানো
কাউকে হোয়াটসঅ্যাপে হত্যা, ক্ষতি বা মানহানির হুমকি দেওয়া সরাসরি অপরাধের মধ্যে পড়ে।
ভুক্তভোগী অভিযোগ করলে পুলিশ আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে। এমনকি ভার্চুয়াল হুমকি দিলেও, তা ফৌজদারি মামলায় রূপ নিতে পারে।
৪. শিশুদের সঙ্গে সম্পর্কিত অনুপযুক্ত কন্টেন্ট শেয়ার
শিশুদের প্রতি যৌন নির্যাতন বা অনুপযুক্ত ছবি ও ভিডিও শেয়ার করা আইন এবং সাইবার ক্রাইম আইনের অধীনে গুরুতর অপরাধ।
এই ক্ষেত্রে শুধু প্রেরক নয়, প্রাপক বা গ্রুপ অ্যাডমিন—দু’জনকেই দায়ী করা হতে পারে।
আরও পড়ুন: ইনস্টাগ্রামে নতুন ফিচার: রিল ওয়াচ হিস্ট্রি দেখা সহজ হলো
এমন কোনও বার্তা পেলে অবিলম্বে রিপোর্ট বা ব্লক করুন।
সতর্ক থাকুন, নিরাপদ থাকুন
হোয়াটসঅ্যাপ আমাদের যোগাযোগকে সহজ করেছে, কিন্তু ব্যবহারকারীর দায়িত্বও বাড়িয়েছে। তাই অজান্তে কোনও কন্টেন্ট শেয়ার বা ফরওয়ার্ড করার আগে একবার ভাবুন—এতে কারও ক্ষতি হচ্ছে কি না। সচেতন ব্যবহারে নিরাপদ থাকুন আপনি ও আপনার প্রিয়জন।
এজেড

