স্মার্টফোন এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য সঙ্গী। কাজের প্রয়োজনে কিংবা বিনোদনের জন্য—সব ক্ষেত্রেই ফোনের ব্যবহার বেড়েছে কয়েকগুণ। আর ফোনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও নাজুক অংশ হলো এর স্ক্রিন। স্ক্রিনকে আঁচড়, দাগ ও ভাঙা থেকে রক্ষা করতে আমরা ব্যবহার করি স্ক্রিন প্রটেক্টর। তবে অনেকেই জানেন না, এই প্রটেক্টর অনন্তকাল টিকে না—সময়মতো পরিবর্তন না করলে স্ক্রিনের সুরক্ষা কমে যায়।
কখন বদলাবেন স্ক্রিন প্রটেক্টর?
১. আঁচড় বা দাগ বেশি হলে
দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে স্ক্রিন প্রটেক্টরে আঁচড় জমে যেতে পারে, যা শুধু দেখতে খারাপই লাগে না, বরং স্ক্রিনের টাচ সেনসিটিভিটি কমিয়ে দেয়।
২. ফেটে গেলে বা কোণা উঠে গেলে
স্ক্রিন প্রটেক্টরের কোনো অংশ ফেটে গেলে বা প্রান্ত উঠে গেলে ধুলো-ময়লা ভেতরে ঢুকে স্ক্রিন ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
বিজ্ঞাপন

৩. টাচ রেসপন্স কমে গেলে
দীর্ঘদিন ব্যবহারের পর প্রটেক্টরের ওপরের স্তর ক্ষয়ে গিয়ে টাচ রেসপন্স কমে যেতে পারে।
৪. দাগ বা হলদেটে ভাব
সূর্যের আলো বা অতিরিক্ত ব্যবহারে কিছু স্ক্রিন প্রটেক্টরে হলদেটে ভাব আসে, যা স্ক্রিনের দৃশ্যমানতা কমিয়ে দেয়।
কতদিন পর পর পরিবর্তন করবেন?
সাধারণত টেম্পার্ড গ্লাস স্ক্রিন প্রটেক্টর ৬ মাস থেকে ১ বছর ভালো থাকে, আর প্লাস্টিক বা পিইটি ফিল্ম প্রটেক্টর ৩-৬ মাসের মধ্যে বদলে নেওয়া ভালো। তবে এটি নির্ভর করে ব্যবহার প্যাটার্ন, ফোন ব্যবহারের সময় সতর্কতা এবং প্রটেক্টরের গুণগত মানের ওপর।

ফোনের স্ক্রিন প্রটেক্টরের যত্ন
স্ক্রিন প্রটেক্টর লাগানোর আগে ও পরে স্ক্রিন পরিষ্কার রাখুন।
ভালো মানের ব্র্যান্ডেড প্রটেক্টর ব্যবহার করুন, এতে দীর্ঘস্থায়ী সুরক্ষা পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: স্ক্রিন প্রটেক্টর ফোনের ডিসপ্লেকে কতটা সুরক্ষা দেয়?
প্রয়োজনে প্রফেশনাল দিয়ে প্রটেক্টর লাগিয়ে নিন যাতে বুদবুদ বা ধুলো না থাকে।
সঠিক সময়ে স্ক্রিন প্রটেক্টর বদলে নিলে ফোনের ডিসপ্লে দীর্ঘদিন নতুনের মতো থাকবে, আর হঠাৎ পড়ে গিয়ে ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকিও অনেকটা কমে যাবে।
এজেড

