স্মার্টফোন আমাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। যোগাযোগ, বিনোদন, কাজ—সবকিছুতেই এখন মোবাইল। কিন্তু যখন এই প্রয়োজনটা পরিণত হয় নির্ভরতায়, তখনই জন্ম নেয় আসক্তি। আর এই আসক্তি শুধু সময় নষ্টই করে না, ধীরে ধীরে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও খারাপ প্রভাব ফেলে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘ সময় ধরে মোবাইল স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকলে মানুষের মনোযোগের ক্ষমতা হ্রাস পায়, ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে, চোখে চাপ পড়ে এবং সামাজিক যোগাযোগও কমে যায়। তাই প্রযুক্তির সঙ্গে ভারসাম্য বজায় রেখে চলাটা খুবই জরুরি।
বিজ্ঞাপন
১. স্ক্রিন টাইম সীমাবদ্ধ করুন
স্মার্টফোনে এখন বিল্ট-ইন স্ক্রিন টাইম বা ডিজিটাল ওয়েলবিইং ফিচার থাকে। প্রতিদিন কোন অ্যাপে কত সময় কাটাচ্ছেন, তা নজরে রাখুন এবং প্রয়োজন অনুযায়ী টাইম লিমিট সেট করুন।
২. নোটিফিকেশন বন্ধ করুন
প্রতিনিয়ত বাজতে থাকা নোটিফিকেশন মনোযোগ নষ্ট করে।
বিজ্ঞাপন
অপ্রয়োজনীয় অ্যাপের নোটিফিকেশন বন্ধ রাখুন
সোশ্যাল মিডিয়ার ‘পুশ অ্যালার্ট’ বন্ধ করুন
৩. রাতে ফোন দূরে রাখুন
ঘুমানোর আগে অন্তত ৩০ মিনিট ফোন থেকে দূরে থাকুন। ফোন হাতে নিয়ে ঘুমোলে ঘুমের গুণমান কমে যায় এবং মস্তিষ্ক বিশ্রাম পায় না।
৪. বিকল্প অভ্যাস গড়ে তুলুন
স্মার্টফোনের পরিবর্তে অন্য কিছুতে মন দিন—
বই পড়া
হাঁটা বা হালকা ব্যায়াম
গান শোনা
পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো
৫. সাপ্তাহিক ‘ফোন ফ্রি টাইম’ রাখুন
প্রতিদিন বা সপ্তাহে কিছু সময় নির্ধারণ করুন যেখানে আপনি ইচ্ছে করে ফোন বন্ধ রাখবেন বা সাইলেন্ট মোডে রাখবেন। যেমন: খাবার সময়, পরিবার নিয়ে সময় কাটানোর সময়।
৬. লক্ষ্য নির্ধারণ করে ফোন ব্যবহার করুন
ফোন চালু করার আগে নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন ‘আমি কী কারণে ফোন ব্যবহার করছি?’ যদি লক্ষ্যহীনভাবে স্ক্রল করেন, তাহলে নিজেকে থামান।
আরও পড়ুন: স্মার্টফোন দিয়ে এআই ভিডিও তৈরির উপায়
স্মার্টফোন একটি প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি, কিন্তু সেটি যেন নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায়। নিজের সময়, মনোযোগ এবং সম্পর্কগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে স্মার্টফোনের ব্যবহার হোক সচেতন ও সীমিত। প্রযুক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করুন, প্রযুক্তি যেন আপনাকে নিয়ন্ত্রণ না করে।
এজেড