স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের মধ্যে একটি বড় অংশই ফোনের লুক ও ফিল কাস্টমাইজ করতে পছন্দ করেন। এজন্য থিম, আইকন প্যাক, লাইভ ওয়ালপেপার কিংবা লকস্ক্রিন ডিজাইন পরিবর্তনের প্রবণতা বাড়ছে। অনেকেই প্রতিদিন ফোনের থিম বা ওয়ালপেপার পাল্টান, আবার কেউ সেট করেন প্রিয় মানুষের ছবি। প্রশ্ন হচ্ছে—ফোনে এসব ব্যবহার করা কি ঠিক? এতে কি ফোনের কার্যক্ষমতায় প্রভাব পড়ে? নাকি এগুলো শুধু চোখের শান্তির বিষয়?
থিম ও ওয়ালপেপার কী কাজ করে?
থিম: স্মার্টফোনের সম্পূর্ণ ইন্টারফেসকে একটি নির্দিষ্ট ডিজাইনের কাঠামোতে সাজিয়ে দেয়। এতে আইকনের আকৃতি, রঙ, ফন্ট এমনকি নোটিফিকেশন স্টাইল পর্যন্ত বদলে যায়।
ওয়ালপেপার: ফোনের হোম ও লক স্ক্রিনের পেছনে প্রদর্শিত ছবি। এটি স্থির বা লাইভ (অ্যানিমেটেড) হতে পারে।
আরও পড়ুন: স্মার্টফোন দীর্ঘদিন বন্ধ করে রাখলে কি নষ্ট হয়ে যায়?
ভালো দিক: কেন থিম ও ওয়ালপেপার ভালো?
বিজ্ঞাপন
ব্যক্তিত্বের প্রকাশ: আপনি কেমন তা অনেকাংশে ফুটে ওঠে আপনার ফোনের থিম বা ওয়ালপেপারে।

মন-মেজাজ ভালো থাকে: সুন্দর ও শান্তিময় ব্যাকগ্রাউন্ড মানসিক প্রশান্তি দেয়।
ইউজার এক্সপেরিয়েন্স উন্নত হয়: কিছু থিম ইউজার-ফ্রেন্ডলি করে তোলে পুরো ইন্টারফেস।
মোটিভেশনাল ওয়ালপেপার: অনেকে মোটিভেশনাল উক্তি বা লক্ষ্যের ছবি রাখেন—যা প্রতিদিন লক্ষ্যপূরণে উদ্দীপক হয়ে ওঠে।
মন্দ দিক: সমস্যা কোথায়?
ফোন স্লো হয়ে যেতে পারে: ভারী থিম বা লাইভ ওয়ালপেপার ব্যবহারে র্যাম ও ব্যাটারির ওপর চাপ পড়ে।
ব্যাটারি ড্রেইন: চলমান ওয়ালপেপার ব্যাকগ্রাউন্ডে কাজ করতে থাকে, যা দ্রুত ব্যাটারি শেষ করে।
সিকিউরিটি ঝুঁকি: তৃতীয় পক্ষের থিম বা ওয়ালপেপার অ্যাপ ডাউনলোড করলে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করতে পারে।

ফোকাস নষ্ট: অতিরিক্ত ফ্লাশি বা অপ্রয়োজনীয় ডিজাইন কাজের সময় মনোযোগ বিঘ্ন করতে পারে।
ফোনে থিম ও ওয়ালপেপার ব্যবহারে করণীয় ও বর্জনীয়:
করণীয়
লাইটওয়েট ও অফিসিয়াল থিম ব্যবহার করুন
ব্যাটারি ফ্রেন্ডলি ওয়ালপেপার বেছে নিন
মোটিভেশনাল বা নিরপেক্ষ ব্যাকগ্রাউন্ড ব্যবহার করুন
সিকিউর প্লে-স্টোর বা অফিসিয়াল সোর্স থেকে থিম ডাউনলোড করুন

বর্জনীয়
লাইভ ওয়ালপেপার সারাদিন চালু রাখবেন না
থার্ড পার্টি অ্যাপ থেকে থিম নামাবেন না
প্রয়োজনের বেশি ফ্লাশি বা অ্যানিমেটেড থিম ব্যবহার করবেন না
ফোনে থিম ও ওয়ালপেপার ব্যবহার করা একেবারে খারাপ নয়। বরং ব্যক্তিগত পছন্দ ও মানসিক প্রশান্তির জন্য এগুলো ভালো উপায় হতে পারে। তবে ভারসাম্য রক্ষা জরুরি। খুব বেশি কাস্টমাইজেশনে যদি ফোনের গতি কমে যায় বা ব্যাটারি দ্রুত ফুরিয়ে যায়, তাহলে সেটি সময় ও শক্তির অপচয়। তাই প্রয়োজন, স্বাদ এবং কার্যক্ষমতা—এই তিনের সমন্বয়েই হোক ডিজিটাল স্টাইলিং।
এজেড

