বর্তমান সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় প্রযুক্তি পণ্য হলো স্মার্টফোন। এই ডিভাইসটি এখন আর শুধুমাত্র কথা বলার যন্ত্র নয়, বরং ছবি তোলা, ভিডিও দেখা, ইন্টারনেট ব্যবহার, গেম খেলা, অফিসের কাজ, এমনকি ব্যাংকিং– সবই এখন ফোনের মাধ্যমে সম্ভব। ফলে নতুন ফোন কেনার সময় অনেকেই দ্বিধায় পড়েন—র্যাম বেশি গুরুত্বপূর্ণ, নাকি রম?
র্যাম বা RAM (Random Access Memory) হলো ফোনের অস্থায়ী মেমোরি। যখন ফোনে অ্যাপ চালানো হয়, তখন সেই অ্যাপের তথ্য র্যামে জমা থাকে। ফলে র্যাম যত বেশি, ফোন তত দ্রুত কাজ করে। বিশেষ করে যদি কেউ একসাথে একাধিক অ্যাপ ব্যবহার করেন বা গেম খেলেন, তাহলে বেশি র্যাম থাকলে ফোন কম হ্যাং করবে এবং মসৃণভাবে চলবে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: একটি ফোন নম্বর দিয়ে কয়টি হোয়াটসঅ্যাপ চালানো সম্ভব?
অন্যদিকে, রম বা ROM (Read Only Memory) হলো ফোনের অভ্যন্তরীণ স্টোরেজ। এই জায়গায় ফোন ব্যবহারকারী ছবি, ভিডিও, অ্যাপস, ডকুমেন্ট বা অন্যান্য ফাইল সংরক্ষণ করে রাখেন। রম কম থাকলে ফোনে জায়গার সমস্যা দেখা দেয়, ফোন স্লো হয়ে যেতে পারে এবং অ্যাপ আপডেট বা নতুন ফাইল সংরক্ষণেও সমস্যা হয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ফোনের ব্যবহার পদ্ধতি অনুসারে র্যাম বা রমের গুরুত্ব আলাদা হয়ে দাঁড়ায়। উদাহরণস্বরূপ, যেসব ব্যবহারকারী গেম খেলেন বা একাধিক অ্যাপ চালান, তাদের জন্য বেশি র্যাম গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে যারা বেশি ছবি ও ভিডিও তুলেন বা ফোনে ফাইল জমিয়ে রাখেন, তাদের জন্য বেশি রম দরকার।
তবে একথা নিশ্চিতভাবে বলা যায় যে, র্যাম ও রম—দুইটিই স্মার্টফোন পারফরম্যান্সের জন্য সমান গুরুত্বপূর্ণ। একটির ঘাটতি অন্যটির দ্বারা পূরণ করা সম্ভব নয়। তাই ফোন কেনার সময় ব্যবহারকারীর প্রয়োজন বুঝে একটি ভারসাম্যপূর্ণ কনফিগারেশনের ফোন বেছে নেওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
বিজ্ঞাপন
এজেড

