শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

হ্যাকারদের প্রধান টার্গেট এখন হোয়াটসঅ্যাপ, সুরক্ষিত থাকার উপায় জানুন

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১০:০৯ এএম

শেয়ার করুন:

whatsapp hacking

ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটার অধীন বিশ্বের জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বহুল ব্যবহার ও জনপ্রিয়তার কারণে হ্যাকারদের টার্গেট হোয়াটসঅ্যাপ। তাই অনলাইন মাধ্যমে সুরক্ষিত থাকার উপায় জানা জরুরি। 

হ্যাকাররা হোয়াটসঅ্যাপ থেকে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে পারে, অ্যাকাউন্ট নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, এমনকি আপনার পরিচয় ব্যবহার করে প্রতারণাও করতে পারে।


বিজ্ঞাপন


বিগত কয়েক মাসে অনলাইন জালিয়াতি যেন ঝড়ের গতিতে বেড়েছে। নতুন নতুন কৌশলে স্ক্যামাররা স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের নিশানা করছে। তাই এই মুহূর্তে সতর্ক থাকা জরুরি। সেই সঙ্গে এই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য হাতে রাখতে হবে। ছবি ডাউনলোড স্ক্যাম থেকে শুরু করে ওটিপি স্ক্যাম এবং ম্যালিশাস লিংক জালিয়াতির নিত্যনতুন কায়দা আনছে স্ক্যামাররা। 

এমনকি এভাবে গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করে দিচ্ছে কিংবা তাদের ব্যক্তিগত সংবেদনশীল তথ্যও চুরি করে নিচ্ছে।

বিশ্বে কয়েক শ কোটি মানুষ মেসেজ এবং কলের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন।। আর স্ক্যামাররাও এখানে ফাঁদ পেতে রেখেছে। 

অচেনা নং থেকে আসা লিংকে ক্লিক করলে প্রতারকদের খপ্পড়ে পড়তে হয়। লিংকে থাকা ইমেজ ওপেন করলেই দূরে বসেই প্রতারক তার ডিভাইসে ম্যালওয়্যার ইনস্টল করে দিচ্ছে। আর এই ম্যালওয়্যারই ব্যবহারকারীর ফোন থেকে ব্যাংকিং তথ্য ও পাসওয়ার্ডের মতো সংবেদনশীল তথ্য চুরি করে নিচ্ছে।


বিজ্ঞাপন


এমনকি দূরে বসেও ডিভাইসের অ্যাক্সেস পেয়ে যাচ্ছে জালিয়াত। তবে ব্যবহারকারী মেসেজটি ইগনোর করলেও তাকে বারবার ছবিটি ডাউনলোড করতে চাপাচাপি করছে স্ক্যামাররা। তাই সতর্ক এবং সুরক্ষিত থাকতে কয়েকটি উপায় অবলম্বন করা আবশ্যক।

j

নিজের জন্য ভাবা: সন্দেহজনক মেসেজ এলে সতর্ক হতে হবে। অন্যদিক থেকে যদি চাপও আসে, তাহলেও পাত্তা দেওয়ার দরকার নেই। কিংবা পাসওয়ার্ড বা ওটিপি চাইলেও তা শেয়ার করা উচিত নয়। ভাবনাচিন্তা করে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। নাহলে ইগনোর করাই বুদ্ধিমানের কাজ। 

সাড়া না দেওয়া: কেউ যদি অজ্ঞাতপরিচয় নম্বর থেকে বারংবার কল করতে থাকে, তাহলে তাতে সাড়া দেওয়ার প্রয়োজন নেই। এমনকী টেক্সট পাঠালেও সাড়া না দেওয়াই উচিত। কন্ট্যাক্টের পরিচয় ট্র্যাক করতে না পারলে ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়া চলবে না। 

ব্লক এবং রিপোর্ট: স্ক্যামার অথবা সন্দেহজনক মেসেজের যোগ্য জবাব হল ব্লক এবং রিপোর্ট। এমনটা করে দিলে আর মেসেজ, কল আসবে না। ভুলভাল কন্টেন্ট অথবা স্প্যামের জন্য রিপোর্ট করা উচিত। যদি কেউ কোনও অজানা গ্রুপে অ্যাড করে, তাহলে সেখান থেকে বেরিয়ে সঙ্গে সঙ্গে গ্রুপ অ্যাডমিনকে ব্লক করে দিতে হবে। 

আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপে আসা ছবি-ভিডিওতে ফোনের স্টোরেজ ভরে যাচ্ছে? সমাধান জানুন

প্রাইভেসি এবং সিকিউরিটি সেটিংস: স্ক্যামারদের প্রতিরোধ করতে নিজের প্রাইভেসি সেটিংস অ্যাডজাস্ট করতে হবে। কে ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য দেখতে পাবেন, কে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন, সেই নিয়ন্ত্রণ ব্যবহারকারীর হাতেই দিয়ে রেখেছে হোয়াটসঅ্যাপ।

নিজে যাচাই: ধরা যাক, কোনও বন্ধুর নম্বর থেকে আর্থিক সাহায্য চেয়ে মেসেজ এল। সমস্ত কিছু যাচাই করতে হবে। এক্ষেত্রে কল করার প্রয়োজন পড়লে হোয়াটসঅ্যাপে কল ব্যাক করা চলবে না।

এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর