বাসা-বাড়ি, দোকান কিংবা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান দিন শেষ তালা মেরে রেখে গেলেন। নিরাপত্তার জন্য আছে সিসি টিভি ক্যামেরা। নিশ্চিন্তে ঘরে ফিরলেন। পরের দিন এসে দেখলেন চুরি হয়েছে মূল্যবান সব কিছু। এবার সিসি টিভি ফুটেজ দেখার পালা। কে বা কারা চুরি করেছে তা জানতে চান। কিন্তু ফুটেজ দেখে বুঝলেন সংঘবদ্ধ চোরের দল এসেছিল মুখোশ পরে। তাদের চেনারও উপায় নেই। আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর শরণাপন্ন হওয়া ছাড়া আর উপায় নেই।
উপায় আছে, যদি আপনার বাসা-বাড়ি কিংবা প্রতিষ্ঠানে লাগিয়ে রাখেন ট্যাস অ্যালার্ম। কেননা, এই অ্যালার্ম ব্যবহার করলে চুরির ঘটনা সংঘটিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে বিকট শব্দে অ্যালার্ম বাজবে। মোবাইল ফোনে কল যাবে। ফলে তখনই আপনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।
বিজ্ঞাপন
বাসা-বাড়ি কিংবা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা দিতে বিশেষ এই অ্যালার্ম উদ্ভাবন করেছে ট্যাসলক। এই প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে মোটর গাড়ির নিরাপত্তায় সিকিউরিটি ডিভাইস উদ্ভাবন ও বাজারজাত করে সুনাম কুড়িয়েছে। এরই ধারাবাহিতায় গ্রাহকদের জন্য এবার এলো ট্যাস অ্যালার্ম।
ট্যাস অ্যালার্মটির বিশেষত্ব জানতে চাইলে এর উদ্ভাবক রাদবী রেজা ঢাকা মেইলকে বলেন, নিরাপত্তার জন্য এখন আর শুধু তালা, সিসি টিভি ক্যামেরা কিংবা সিকিউরিটি গার্ডের ওপর নির্ভর করা যায় না। কেননা, চোর তালা ভাঙার উপায় জানে। সে আসতে পারে মুখোশ পরে। সিসি ক্যামেরার বিদ্যুৎ সংযোগও বন্ধ করে দিতে পারে। এমনকি সিকিউরিটি গার্ডকে জিম্মি করে চুরি সংঘটিত করতে পারে। কিন্তু আমাদের উদ্ভাবিত ডিভাইসটিকে ফাঁকি দেওয়া চোরের সাধ্য নয়।
তিনি আরও বলেন, গ্রাহকদের সম্পূর্ণ নিরাপদ রাখতে ট্যাসলক এনেছে শাটার সিকিউরিটি। ট্যাস অ্যালার্ম নামের এই ডিভাইসটি সম্পূর্ণরূপে সেন্সরের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত।
‘আপনার স্থাপনায় এই সিকিউরিটি ডিভাইস স্থাপন করে আপনি পৃথিবীর যেথায় খুশি সেখায় ঘুরে আসুন। আপনার দোকান বা বাড়ি থাকবে নিরাপদ। কেউ চুরির চেষ্টা করলেই বিকট শব্দে অ্যালার্ম বাজবে। ফোনে কল যাবে। এজন্য বাড়তি কোনো খরচ করতে হবে না।’
বিজ্ঞাপন
ডিভাইসটির ফিচার সম্পর্কে বলছিলেন রাদবী রেজা।
তিনি জানান, ডিভাইসটি বাসায়, দোকানে কিংবা অফিসে লাগানো থাকলে চোর দরজা, জানালা কিংবা দেয়াল ভেঙে প্রবেশ করতে গেলেই অ্যালার্ম বাজবে। আপনার মোবাইল ফোনে ৫ সেকেন্ডের মধ্যেই কল চলে আসবে । এর জন্য আলাদাভাবে কোনো ইন্টারনেটের প্রয়োজন নেই। মাসে মাসে গুণতে হবে না বাড়তি চার্জ।
অধিক নিরাপত্তার জন্য ডিভাইসটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৯৯ টি সেন্সর। বিদ্যুৎ চলে গেলেও ব্যাকআপ পাওয়ারের মাধ্যমেও এটি কাজ করবে। এমনকি চোর হানা দিলে তাদের কথাবার্তাও মোবাইল ফোনে শুনতে পারবেন। তাদের সঙ্গে কথাও বলতে পারবেন।
অ্যালামটি মাত্র ১২ ভোল্টের পাওয়ার কানেকশনে চলবে। তাই বাড়তি বিলের বোঝা বইতে হবে না। এতে অ্যান্টি জ্যামার প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে। তাই করো সাধ্য নেই এটিকে হ্যাক করার।
ডিভাইসটি নিয়ন্ত্রণের জন্য ২টি রিমোর্ট দেওয়া হয়। এছাড়াও মোবাইল ফোন দিয়েও বাসা-বাড়ি কিংবা দোকানের দরজা লক ও আনলক করা যাবে।
ট্যাস অ্যালার্মে পাসওয়ার্ডও ব্যবহার করা যাবে। এটি সম্পূর্ণরুপে ওয়্যাররলেস কন্ট্রোল সিস্টেমে চলে। তাই ইনস্টল করতে তারের ঝামেলা নেই। অ্যালার্মটির সঙ্গে সিসি টিভি ক্যামেরার সঙ্গেও সংযোগ দেওয়া যায়। ডিভাইসটির ফ্রি ইনস্টল সুবিধা দেয় ট্যাসলক।
এতসব সুবিধা সম্বলিত ডিভাইসটির দাম ৩৯৯৯ টাকা।
এজেড

