বুধবার, ২৬ মার্চ, ২০২৫, ঢাকা

আপনার লোকেশন ট্র্যাক করছে স্মার্টফোন, নিরাপদ থাকবেন যেভাবে

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:০৭ এএম

শেয়ার করুন:

loading/img

আপনি জানলে অবাক হবেন, স্মার্টফোন যেন গোয়েন্দা। সব দেখছে, সব নজরে রাখছে। ইউজার কোথায় যাচ্ছে, কী করছে, সব। শুধু স্মার্টফোন নয়, অন্যরাও সেই সব তথ্য দেখতে পাচ্ছে। হ্যা, অবাক হওয়ার কিছু নেই। এটাই সত্যি।

ইউজার হয়তো ম্যাপ অ্যাপ ব্যবহার করে কোনও রেস্টুরেন্ট খুঁজছেন, অনলাইনে কিছু কেনার আগে ফোনের ব্রাউজারে দাম দেখছেন, কিন্তু জানতেও পারছেন না ফোন সে সব ট্র্যাক করছে। শুধু তাই নয়, সেই তথ্য অন্যদের শেয়ারও করছে। 


বিজ্ঞাপন


ইউজারের লোকেশন ট্র্যাক করার জন্য বিভিন্ন সিগন্যাল ব্যবহার করা হয়। যেমন সেল টাওয়ার পিং, ওয়াইফাই, ব্লুটুথ, জিপিএস। কখনও কখনও ইউজার নিজেই নিজের লোকেশন জানান। যেমন ক্যাব ড্রাইভারকে।

আরও পড়ুন: কোন কাজের জন্য কোন ট্যাব কিনবেন?

অনেক অ্যাপ আবার ইউজারের লোকেশন ট্র্যাক করে। কোনও কারণ ছাড়াই। সেই তথ্য পরে অ্যাপ, বিজ্ঞাপনদাতাদের দিয়ে দেয়। এখন যদি সে সব হ্যাকারদের হাতে পড়ে তাহলে? কী হতে পারে ভাবলেও শিউরে উঠতে হয়।

কিপার সিকিউরিটির সিইও ড্যারেন গুছিওনে বলছেন, ‘ফিটনেস ট্র্যাকিং থেকে শুরু করে নেভিগেশন পর্যন্ত প্রতিটা লোকেশন পিং থেকে ইউজারের দৈনন্দিন রুটিন সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়। এসব ভুল হাতে পড়লে মারাত্মক বিপদ হতে পারে।’


বিজ্ঞাপন


তার মতে, ‘যখন দরকার কেবল তখন লোকেশন ট্র্যাকিং চালু করা উচিত। জরুরি পরিস্থিতিতে বা পরিচিত কারও সঙ্গে আপডেট শেয়ার করার সময়। কাজ হয়ে গেলে তৎক্ষণাৎ বন্ধ করে দিতে হবে। কখনওই সবসময় চালিয়ে রাখা ঠিক নয়।’

online

টেক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোন কোন অ্যাপকে লোকেশন ট্র্যাকিংয়ের ‘পারমিশন’ দেওয়া আছে দেখে নেওয়া উচিত। আইফোন ইউজাররা Privacy & Security ট্যাব থেকে Location Services-এ গিয়ে দেখতে পারেন। আর অ্যানড্রয়েড ইউজারদের সেটিংসে গিয়ে Location আইকনে ট্যাপ করতে হবে।

এখান থেকে ইউজার কোনও নির্দিষ্ট অ্যাপকে লোকেশন ট্র্যাকিংয়ের ‘পারমিশন’ দিতে পারেন কিংবা তুলে নিতে পারেন। আইফোনে, Tracking ট্যাব থেকে Allow Apps to Request to Track অপশন বন্ধ করে দিলে নতুন অ্যাপের ট্র্যাকিং অটোমেটিকভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।

গুগল অ্যাকাউন্টে গিয়ে Location History কন্ট্রোল ট্র্যাকিং ডেটা ডিলিট করে দিতে পারেন ইউজাররা। ব্রাউজারে DuckDuckGo বা Firefox Focus ব্যবহার করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এতে ইউজারের কোনও তথ্য সংরক্ষণ করা হয় না।

কিছু সাইবার সিকিউরিটি ওয়েবসাইট এয়ারপ্লেন মোড ব্যবহার করতে বলে। তবে সব সিগন্যাল এতে বন্ধ হয় না। এর বদলে সিগন্যাল ব্লক করার জন্য ফ্যারাডে পাউচ ব্যবহার করা যায়। তবে সব সিগন্যাল ব্লক করছে কি না, আগে ভালভাবে পরীক্ষা করে দেখে নিতে হবে।

এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন