শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ফোনে দ্রুত নেট শেষ হয়ে যায়? ডাটায় লাগাম টানার উপায় জানুন

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৫১ পিএম

শেয়ার করুন:

internet

ইন্টারনেট ডাটা কেনার কিছুসময় পর দেখলেন অনেকটাই খরচ হয়ে গেছে। অথচ আপনি খুব বেশি একটা ব্রাউজিং করেননি। তাহলে নেট ফুরালো কীভাবে? এই প্রশ্ন বা চিন্তা অনেকেরই মাথায়। বিশেষ করে নেটিজেনদের। 

মোবাইলে নেট শেষ হয়ে গেলেই যেনো বিপদ! দুনিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ পুরো বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। তখন ফোন শুধু কথা বলার যন্ত্র মাত্র। আসলে বেশিরভাগ রিচার্জ প্ল্যানেই ডেটা লিমিট থাকে। সেই লিমিট ফুরিয়ে গেলে, ইন্টারনেটের স্পিড কমে যায়।


বিজ্ঞাপন


অনেক সময় এমনও হয়, ডেটা প্রায় শেষ হয়ে এসেছে, কিন্তু জরুরি প্রয়োজনে কোথাও যেতে হবে। কিংবা নেট ব্যাংকিংয়ের প্রয়োজন। তখন ফের নেট রিচার্জ করতে হয়। তবে কয়েকটা জিনিস মাথায় রাখলেই অনেক নেট বাঁচাতে পারেন ইউজার। কীভাবে? জানুন বিস্তারিত।

data.

পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার: সম্ভব হলে পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার করতে হবে। নিজের ফোনের ডেটা বাঁচানোর এটাই সবচেয়ে সহজ উপায়।

অটো আপডেট বন্ধ: মোবাইলে এমন অনেক অ্যাপস রয়েছে যেগুলো অটোমেটিক আপডেট হয়। ইউজারের অনুমতির প্রয়োজন হয় না। অটোমেটিক আপডেট বন্ধ রাখতে হবে। এতে প্রচুর ডেটা খরচ হয়।


বিজ্ঞাপন


হাই কোয়ালিটি ভিডিও ও অডিও বন্ধ: হাই কোয়ালিটির ভিডিও চালালে প্রচুর ডেটা খরচ হয়। অডিওতেও তাই। স্মার্টফোনে লো কোয়ালিটির ভিডিও কিংবা অডিও-ই স্ট্রিম করা উচিত। এতে প্রচুর ডেটা বাঁচবে।

ডেটা সেভিং মোড অন: ইদানীং প্রায় সব স্মার্টফোনেই ডেটা সেভিং মোড। নেট বাঁচানোর এটা অন্যতম কৌশল হতে পারে। ডেটা সেভিং মোড অন রাখলে নেট খরচ তুলনামূলকভাবে কম হয়। নেট বাঁচে।

date

অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ ডিলিট: স্মার্টফোনে সাধারণত ৪ থেকে ৫টি অ্যাপই ব্যবহার করেন ইউজাররা। বাকি অ্যাপগুলো জায়গা জড়ো করে রাখে। এর মধ্যে অনেক অ্যাপ রয়েছে, যেগুলো ব্যবহার না করলেও ব্যাকগ্রাউন্ডে অন থাকে। ফলে ডেটা খরচ হয়। তাই অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ ডিলিট করে ফেলাই ভাল। এতে অনেক ডেটা বেঁচে যাবে।

ব্রাইজিং সেটিংসে ছোট বদল: ব্রাউজারে ডেটা সেভিং মোড রয়েছে। সেটা অন রাখতে হবে। এর সঙ্গে অ্যাড ব্লকারও ব্যবহার করা উচিত। এতেও ডেটা সাশ্রয় হবে।

আরও পড়ুন: ফোনে ইন্টারনেট পায় না? এই সেটিংসগুলো বদলে নিন

সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার: স্মার্টফোন হাতে নিলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সোশ্যাল মিডিয়াতেই কেটে যায়। কিন্তু অনেকেই জানেন না, এই অ্যাপগুলোতেই ডেটা সবচেয়ে বেশি খরচ হয়। তাই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার কমানোর চেষ্টা করা উচিত।

internet

ক্লাউড স্টোরেজের কম ব্যবহার: ক্লাউড স্টোরেজে ফাইল সিঙ্ক করতে অনেক ডেটা লাগে। তাই নেট বাঁচাতে চাইলে ক্লাউড স্টোরেজ কম ব্যবহার করাই ভাল।

লোকেশন সার্ভিস অফ: যখন লোকেশন সার্ভিসের প্রয়োজন নেই, তখন অফ করে রাখলে অনেক ডেটা বাঁচবে।

এজেড

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর