মেটার অধীন বিশ্বের জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক। চাইলে যেকোনো বয়সী ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এই মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন না। একটা নির্দিষ্ট বয়সে ফেসবুক খোলা যায়। ব্যবহারকারী যদি অপ্রাপ্তবয়স্ক হয় তবে তাদের বাবা-মায়ের অনুমতি নিতে হয়।
অস্ট্রেলিয়ায় ১৬ বছরের কম বয়সীদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যান। ওসব দেশে ফেসবুকসহ সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য নিষিদ্ধ করায় কোনো আন্দোলন হয়নি। যদিও পড়াশোনার কারণেই এখন নানা সময়ে হাইস্কুল পড়ুয়াদের স্মার্টফোন কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাক্সেস দরকার হয়। তবে, নতুন নিয়মে বলা হয়েছে যে এইবার থেকে ১৮ বছরের নিচে ছেলেমেয়েরা যদি সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট খুলতে চায়, তাহলে তাদের অভিভাবকদের সম্মতি লাগবে।
বিজ্ঞাপন

ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলতে কত বছর হতে হবে?
যাদের বয়স ১৩ বছরের কম, তাদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট না রাখার পক্ষে ফেসবুক। তাই কারও বয়স নিয়ে সন্দেহ হলে তাদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয় ফেসবুক।
বিজ্ঞাপন
ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলার নীতিমালায় বলা আছে, একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট তৈরি করার জন্য আপনার বয়স অবশ্যই ১৩ বছর হতে হবে৷ কিছু অঞ্চল যেমন দক্ষিণ কোরিয়া, স্পেন বা কুইবেক-এ বয়স সংক্রান্ত আলাদা শর্তাবলী রয়েছে। ভুল তথ্য দিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট খোলা মেটার শর্তাবলীর একটি লঙ্ঘন। এর মধ্যে ১৩ বছরের নিচের কারোর হয়ে নিবন্ধীকৃত অ্যাকাউন্টগুলোও অন্তর্ভুক্ত।

শিশুরা ফেসবুক ব্যবহার করলে কী ক্ষতি?
গবেষণায় দেখা গেছে, ফেইসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রামসহ যোগাযোগের অন্য সাইডে অনেক সময় ব্যয় করছে শিশুরা, যা ক্ষতিকর। ইন্টারনেই ব্যবহারের মাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যে নিষিদ্ধ বা আপত্তিকর অনেক বিষয় জানা যায়।এছাড়া আমাদের শিশুরা প্রতিদিন ফেসবুকের পেছনে অনেক সময় ব্যয় করছে।
শিশুরা যদি প্রতিদিন দুই ঘণ্টার বেশি সময় ফেসবুকে ব্যয় করে তবে তাদের ক্রুটিপূর্ণ মানসিক বিকাশের ঝুঁকি রয়েছে। মানসিক চাপ বেড়ে যাওয়া এমনকি আত্নহত্যার প্রবণতা থাকার আশঙ্কা দেখা দেয়। এমনি তথ্য দিয়েছে নতুন এক গবেষণা।
গবেষণা দেখা যায়, অনেক শিক্ষার্থীই দৈনিক দুই ঘণ্টার বেশি সময় সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইট ব্যবহার করে।
এজেড

