আইফোনের দুইটি জনপ্রিয় মডেল ১৫ প্রো এবং ১৬ প্রো। এর মধ্যে ১৬ প্রো ২০২৪ সালে বাজারে এসেছে। অন্যদিকে ১৫ প্রো প্রথম এসেছিল ২০২৩ সালে। এই দুইটি মডেলই আইফোনের বাজারে রাজত্ব করছে। দুই মডেল থেকে কোনটি কিনবেন তা অনেকেই ঠিক করে উঠতে পারেন না।
মাস তিনেক আগেই আত্মপ্রকাশ করেছে আইফোন ১৬ সিরিজ। আর নতুন আইফোন অনলাইনে ব্যাপক ডিসকাউন্টে পাওয়া যাচ্ছে। যা সত্যিই অবিশ্বাস্য। কারণ এর আগে এমন কখনওই হয়নি। সম্প্রতি আইফোন ১৬ খুবই অল্প দামে বিক্রি শুরু হয়েছে অ্যামাজনে।
বিজ্ঞাপন
বাজেট বাধা হয়ে না দাঁড়ালে আইফোন ১৬ প্রো কেনা উচিত। বিশেষ করে যারা অ্যাপলের পারফরম্যান্স ওরিয়েন্টেড ডিভাইস খুঁজছেন, তাদের জন্য এই ফোনটি আদর্শ।
আইফোন ১৬ প্রো পাওয়া যাচ্ছে নয়া গোল্ড কালারে। ফলে দুর্দান্ত লুক এসেছে এই ফোনটির। এর মধ্যে রয়েছে ক্যামেরা কন্ট্রোল বাটন। যদিও এটা তেমন উপযোগী অ্যাডিশন নয়। আইফোন ১৫ প্রোর তুলনায় এর স্ক্রিন বড় মাপের। নতুন মডেলে রয়েছে ৬.৩ ইঞ্চির ডিসপ্লে। যেখানে আগের মডেলে ছিল ৬.১ ইঞ্চির স্ক্রিন। এর পাশাপাশি বেজেলস আরও স্লিম রাখা হয়েছে। ফলে বিনজ ওয়াচিংয়ের জন্য স্ক্রিন স্পেস বেশি পাবেন ব্যবহারকারীরা। এই ডিসপ্লে-তে রয়েছে চিরাচরিত ১২০ হার্জের প্রোমোশন এবং অলওয়েজ-অন ফিচার। মনে রাখা আবশ্যক যে, স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা ১ নিটে নেমে আসতে পারে। যার ফলে অন্ধকারের মধ্যেও পড়তে পারবেন ব্যবহারকারীরা। ফলে চোখের উপরেও চাপ পড়বে না। গভীর রাতের বিমানযাত্রার ক্ষেত্রে এটি ভীষণই উপযোগী।
বিজ্ঞাপন
আইফোন ১৬ প্রো চালিত হয় কোয়ালকমের স্ন্যাপড্রাগন ৮ এলিট চিপসেট দ্বারা। এর মধ্যে রয়েছে অ্যাপলের এ১৮ প্রো চিপসেট। যা তৈরি করা হয়েছে সেকেন্ড জেনারেশন ৩ এনএম ফেব্রিকেশন প্রক্রিয়ার উপর।
ভিডিওগ্রাফি এবং ফটোগ্রাফির দিক থেকেও এর পারফরম্যান্স দুর্ধর্ষ। এতে রয়েছে ট্রিপল রিয়ার ক্যামেরা সেট-আপ। সেকেন্ড জেনারেশন কোয়াড-পিক্সেল সেন্সরসহ ৪৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, আল্ট্রা-ওয়াইড ক্যামেরা অটোফোকাসসহ ৪৮ মেগাপিক্সেলে আপগ্রেড করা যাবে এমন সেন্সর, তৃতীয় সেন্সরটি হল ৫এক্স অপটিক্যাল জুম এবং ১২০ এমএম ফোকাল লেঙ্গথসহ একটি ১২ মেগাপিক্সেলের টোলিফটো লেন্স। তবে মনে রাখা দরকার যে, আইফোন ১৫ প্রো মডেলে ৫এক্স অপটিক্যাল জুম পাওয়া যায় না। যেটা পাওয়া যায় আইফোন ১৬ প্রোতে।
এজেড