শীত আসতে না আসতেই বেড়েছে বায়ু দুষণ। বিষাক্ত বাতাসেই শ্বাসপ্রশ্বাস নিতে হচ্ছে। ফলে শরীরে প্রবেশ করছে দূষণকারী পদার্থ। যা স্বাস্থ্য সংক্রান্ত জটিলতার আশঙ্কা বাড়াচ্ছে। আর এই সমস্যার মোকাবিলা করার একটাই মাত্র উপায়। সেটা হল - ঘরের মধ্যে থাকা। কিন্তু ঘরেও নিস্তার নেই।
তাই ঘরে থাকলেও ব্যবহার করতে হচ্ছে এয়ার পিউরিফায়ার। বাজারে আজকাল বেশ সহজলভ্য এয়ার পিউরিফায়ার। নানা রকম দামে পাওয়া যায় এই যন্ত্র। তবে এয়ার পিউরিফায়ারের কার্যক্ষমতা বাড়ানোর উপায়গুলো কী কী, সেটাই জেনে নেওয়া যাক।
বিজ্ঞাপন

ফিল্টার পরীক্ষা করা
ভালো এয়ার পিউরিফায়ারে থাকে হাই-এফিসিয়েন্সি পার্টিকুলেট এয়ার (এইচইপিএ) ফিল্টার। যা সময়ে সময়ে পরিবর্তন করা উচিত। অধিকাংশ এইচইপিএ ফিল্টার ৯০০০ ঘণ্টারও বেশি সময় পর্যন্ত স্থায়ী হয়। আর বেশিরভাগ স্মার্ট এয়ার পিউরিফায়ারে থআকে ফিল্টার চেঞ্জ ইন্ডিকেটর। আর চেঞ্জ ইন্ডিকেটর অ্যাক্টিভেট হলে ফিল্টার বদলাতে হবে। আবার কখনও কখনও এইচইপিএ ফিল্টার নিজে নিজেই পরিষ্কার করা যেতে পারে। এয়ার পিউরিফিকেশন এফিশিয়েন্সি যাতে তুঙ্গে থাকে, তার জন্য এই ফিল্টার সঠিক আকৃতিতে থাকা আবশ্যক।
আরও পড়ুন: বায়ু দূষণ কমাতে গুগলের নতুন ফিচার
বিজ্ঞাপন
পোষ্য থাকলে অতিরিক্ত যত্ন
যাদের ঘরে পোষ্য রয়েছে, তাদের আরও সতর্ক হতে হবে। কারণ তাদের গায়ের লোম অনায়াসে এয়ার পিউরিফায়ারে আটকে যেতে পারে। তাই এয়ার পিউরিফায়ারের কার্যকারিতা বজায় রাখার জন্য সেই যন্ত্র এবং এর ফিল্টার যথাসম্ভব পরিষ্কার রাখতে হবে। তাই এয়ার পিউরিফায়ার থেকে পোষ্যের লোম এবং ধূলিকণা পরিষ্কার করার জন্য ভ্যাকুয়াম ক্লিনার ব্যবহার করা যেতে পারে। আর পিউরিফায়ার থেকে সব সময় পোষ্যদের দূরেই রাখা উচিত।

এয়ার পিউরিফায়ারের সঠিক অবস্থান
সঠিক মডেল কেনার পাশাপাশি তা ঘরে সঠিক অবস্থানে রাখাটাও জরুরি। ঘরের দেওয়ালের একেবারে কাছাকাছি থাকা উচিত এয়ার পিউরিফায়ারের একটা দিক। এতে এয়ার ইনটেক সীমিত থাকে। ঘরে বায়ু চলাচল বজায় রাখার জন্য একটা পাখাও ব্যবহার করা যেতে পারে।
আরও পড়ুন: এসি শীতকালে ঢেকে রাখা কি ভালো?
ইনলেট এবং একজস্ট যেন পরিষ্কার আর ছিদ্রযুক্ত হয়
এয়ার পিউরিফায়ারে যদি নতুন ফিল্টার ইনস্টল করা হয়, তাহলে মনে রাখতে হবে যে, এয়ার ইনলেট এবং একজস্ট পোর্টগুলো যেন সাফসুতরো থাকে। অতিরিক্ত ব্যবহার, ডাস্ট পার্টিকেল আসলে এই ইনলেট এবং একজস্টের মধ্যে আটকে যেতে পারে। এতে ফিল্টারে বাতাস প্রবেশ করতে পারে না কিংবা বেরোতেও পারে না।
বাতাসের মান উন্নত হতেই বন্ধ করা চলবে না
ঘরের অন্দরের বাতাসের মান উন্নত হতে না হতেই এয়ার পিউরিফায়ার বন্ধ করে দেওয়া চলবে না। রেফ্রিজারেটরের মতোই সব সময় চালু রাখা উচিত এয়ার পিউরিফায়ারও। বায়ু আসলে আবদ্ধ থাকে, তাই এয়ার পিউরিফায়ার সব সময় চালু করে রাখা উচিত। এতে বাতাস পরিশুদ্ধ থাকবে। তবে সব সময় এমনকী ঘুমানোর সময়ও স্বল্প গতিতেই চালিয়ে রাখতে হবে এয়ার পিউরিফায়ার। আধুনিক সমস্ত পিউরিফায়ারে স্লিপ মোড থাকে। যা কম গতিতে কম শক্তি ব্যবহার করেই বাতাসকে পরিশুদ্ধ করতে থাকে।

বাতাসের মান উন্নত হতেই বন্ধ করা চলবে না
ঘরের অন্দরের বাতাসের মান উন্নত হতে না হতেই এয়ার পিউরিফায়ার বন্ধ করে দেওয়া চলবে না। রেফ্রিজারেটরের মতোই সব সময় চালু রাখা উচিত এয়ার পিউরিফায়ারও। বায়ু আসলে আবদ্ধ থাকে, তাই এয়ার পিউরিফায়ার সব সময় চালু করে রাখা উচিত। এতে বাতাস পরিশুদ্ধ থাকবে। তবে সব সময় এমনকী ঘুমানোর সময়ও স্বল্প গতিতেই চালিয়ে রাখতে হবে এয়ার পিউরিফায়ার। আধুনিক সমস্ত পিউরিফায়ারে স্লিপ মোড থাকে। যা কম গতিতে কম শক্তি ব্যবহার করেই বাতাসকে পরিশুদ্ধ করতে থাকে।
এজেড

