দুয়ারে কড়া নাড়ছে শীত। এই সময়ে এসি চালানোর প্রয়োজন হয় না। তাই অনেকেই এসির ইনডোর ও আউটডোর ইউনিট প্যাক করে রাখেন। আসন্ন শীতে এসি বন্ধ থাকলেও দেখভাল প্রয়োজন, গরমে ফের এসির শীতলতায় কাঁপতে চাইলে কী করা দরকার জেনে নিন।
বেশি কিছু নয়, এসি সার্ভিসিং বলতে যা যা বোঝায়, সেগুলোই করতে হবে। এবার কেউ প্রশ্ন তুলতেই পারেন, আসন্ন শীতে এসি যখন বন্ধই থাকবে, তখন তার সার্ভিসিংয়ের কী দরকার! আসলে, যতই বন্ধ থাক, এসির ভেতরে ধুলো জমবেই। যত দিন চলেছে, তত দিনও ফিল্টারে ময়লা জমবে। ফলে, গরমে যখন ফের চালানো হবে, মনের মতো শীতলতা পাওয়া যাবে না।
বিজ্ঞাপন
১. প্রথম যে কাজটা দরকার, সেটা হল ব্যবহার না করলে এসি আনপ্লাগ করে রাখা- এতে শর্ট সার্কিটের ভয় থাকবে না।
২. এবার আসা পরিষ্কারের বিষয়ে। এসির ফিল্টার দিয়ে শুরু করা যাক। স্প্লিট এসি হলে সামনের ঢাকনাটা আলতো করে তুলে ফিল্টার বের করে নিলেই হল। উইন্ডো এসির ক্ষেত্রে ফ্রন্ট প্যানেল খুলে তা বের করতে হবে। এর পর পানি আর সাবান দিয়ে ধুয়ে নরম পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে লাগিয়ে দিলেই হল।
আরও পড়ুন: এসি একটানা কতক্ষণ চালানো যায়?
বিজ্ঞাপন
৩. এসির ভেতরে থাকে ইভাপোরেটর কয়েল আর বাইরে থাকে কনডেনসার কয়েল। দুটাই সাফ রাখা দরকার। স্প্লিট এসি হলে সামনের ঢাকনাটা আলতো করে তুলে একটা নরম পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ইভাপোরেটর কয়েল মুছে নিতে হবে। আউটডোর ইউনিটের ক্ষেত্রে কয়েল ক্লিনার স্প্রে ব্যবহার করলে ভালো হয়, কেন না কনডেনসার কয়েলে ধুলা জমে বেশি।
৪. অনেকেই নিশ্চয়ই দেখেছেন সার্ভিসিংয়ের সময়ে ইঞ্জিনিয়াররা একটা টুথব্রাশ দিয়ে এসির ভেতরে একটা জায়গা সাফ করেন। ওটাকে বলে ফিন। আমাদেরও টুথব্রাশ দিয়েই তা করতে হবে। কোনও ফিনে বেন্ট থাকলে ফিন কম্ব দিয়ে তা আলতো করে সোজা করে দিতে হবে।
৫. এসির আর্দ্রতা যে অংশ শুষে নেয়, তাকে বলে কনডেনসেশন লাইন। এই জায়গাটা খুঁজে বের করে ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে জমে থাকা ময়লা টেনে বের করে আনতে হবে।
৬. সবশেষে আসে আউটডোর ইউনিটের কথা। ওটায় ময়লা জমে সবচেয়ে বেশি। তাই ওটা পানি দিয়ে ধুতে হবে। একটা পাইপ দিয়ে পানি ছিটিয়ে ছিটিয়ে ধোয়া যায়। তবে খুব বেশি পানি দেওয়া চলবে না, যাতে মেশিনের ক্ষতি না হয়।
৭. এরপর ইনডোর আর আউটডোর দুই ইউনিট ঢেকে রাখতে পারলে ভালো হয়। তাতে ধুলা জমবে না।
এজেড