অনেকেই শুধু লুক দেখেই স্মার্টফোন পছন্দ করেন। নতুন স্মার্টফোন কেনার সময় খুব বেশি গবেষণা করেন না। যার ফলে দিন শেষে নানা ফিচার্স, ফোনের ডিজাইন নিয়ে আফসোস থেকে যায়। শুধু তাই নয়, কয়েক মাস ব্যবহার করার পর, ফোনের একাধিক ত্রুটি চিন্তা বাড়িয়ে দেয়। তাই সামান্য খোঁজখবর আপনার চিন্তা এবং টাকা দুই বাঁচাবে। কী কী বিষয় মাথায় রাখা উচিত চলুন জেনে নেওয়া যাক।
ফোন কেনার সময় যেসব কারণে ঠকে যেতে পারেন
বিজ্ঞাপন
একটা ফোনের পে বিশ, ত্রিশ হাজার টাকা খরচ করার আগে পর্যাপ্ত গবেষণা করেছেন কি? এর উত্তর অধিকাংশ ক্ষেত্রে না। কারণ ক্রেতাদের একাংশ ব্র্যান্ডের নাম, তাদের মার্কেটিং করা কিছু ফিচারের লোভে পড়ে সেটি কিনে ফেলেন। দিন শেষে দেখা যায় ওই দামে বা তার কমে আরও ভালো বিকল্প ছিল বাজারে।
আরও পড়ুন: এই নিয়ম না মানলে সাসপেন্ড হতে পারে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট
আবার কয়েক মাস ব্যবহার করার পর ফোনের কিছু ত্রুটি চিন্তা বাড়িয়ে দেয়। তাই চোখ কান খোলা রেখে তবেই একটা স্মার্টফোন কেনা উচিত সকলের। এক্ষেত্রে কোন কোন বিষয় মেনে চলা দরকার জেনে নিন।
হাইফাই প্রসেসর কি আদৌ লাগবে?
বিজ্ঞাপন
অমুক প্রসেসরে এত স্পিড, এই প্রসেসরের পারফরম্যান্স ভালো, এই বিষয়গুলোতে সাবধান থাকতে হবে। সারা দিনে ফোনে আপনি যা যা কাজ করেন তার জন্য কি উচ্চ মানের প্রসেসর আদৌ দরকার? যদি উত্তর না হয়, তাহলে তার পেছনে মোটা টাকা খরচ করার প্রয়োজন নেই। সাধারণ প্রসেসর দিয়েও সোশ্যাল মিডিয়া, ইউটিউব, ক্যামেরা, কলিং সমস্ত পরিষেবা পাওয়া যায়।
রকমারি ক্যামেরা
আজকাল স্মার্টফোনে বিভিন্ন আলট্রা ওয়াইড ক্যামেরা, ডেপথ ক্যামেরা ইত্যাদি লেন্স থাকে। কিন্তু, এগুলো সাধারণ ফটোগ্রাফির ক্ষেত্রে খুব বেশি প্রয়োজন হয় না। বিশেষ মুহূর্তগুলো ফোনবন্দী করতে শুধু একটু ভালো ক্যামেরা থাকলেই যথেষ্ট। তবে কেউ যদি সেই ছবি আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে এবং নানা অ্যাঙ্গেলে ক্যাপচার করতে চান, তাহলেই এই ধরনের স্মার্টফোন কিনতে পারেন।
ব্যাটারির ওপর জোর দিন
দিন শেষে স্মার্টফোনে চার্জই যদি না থাকে, তাহলে এই সব ফিচার্স উপভোগ করবেন কীভাবে? তাই ভালো ব্যাটারি ক্যাপাসিটি এবং ফাস্ট চার্জিং রয়েছে এমন স্মার্টফোন কেনার চেষ্টা করুন। অনেকেই ভালো ক্যামেরা এবং প্রসেসরের জন্য কম ব্যাটারি ক্যাপাসিটি এবং চার্জিং সম্পন্ন ফোন কিনে ফেলেন। যা করা উচিত নয়।
ব্যবহার বুঝে সিদ্ধান্ত নিন
গেমিং, মাল্টি-টাস্কিং নাকি নর্মাল ব্যবহারের জন্য ফোন কিনছেন তা ঠিক করুন। কেউ যদি দিনে ১০-১২ ঘণ্টার বেশি ফোন ব্যবহার করেন, তাহলে তাদের কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। যেমন - ডিসপ্লে, ভালো প্রসেসর, পর্যাপ্ত ব়্যাম ও স্টোরেজ, সর্বশেষ অ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম এবং ব্যাটারি। আর যদি সাধারণ ব্যবহারের জন্য কেনেন, যেমন - কলিং, ইউটিউব, সোশ্যাল মিডিয়া, তাহলে খুব বেশি উচ্চ মানের ফিচার্স না থাকলেও নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারবেন।
এজেড