৮ জানুয়ারি গ্রামীণফোন গ্রাহকদের মুঠোফোনে বার্তা পাঠিয়ে জানায়, ২০ টাকার পরিবর্তে ১০ জানুয়ারি থেকে সর্বনিম্ন রিচার্জ ৩০ টাকা করতে হবে। এরপর বিভিন্ন গ্রুপে গ্রাহকরা ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন। এমনকি ফেসবুকে ইভেন্ট খুলে গ্রামীণফোন বয়কটেরও ঘোষণা দেন। তাতে গ্রাহকদের পক্ষ থেকে ভালো সাড়াও মেলে। এই ঘটনার দুই দিন যেতে না যেতেই পিছু হটল বাংলাদেশের বৃহৎ মোবাইল ফোন অপারেটরটি।
বিজ্ঞাপন
রিচার্জে সর্বনিম্ন সীমা ৩০ টাকা করার সিদ্ধান্ত থেকে আপাতত সরে এসেছে। আগের মতো সর্বনিম্ন ২০ টাকাই রিচার্জ করা যাবে। অপারেটরটি বলছে, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সঙ্গে আলোচনা করে তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
গণমাধ্যমে গ্রামীণফোনের হেড অব কমিউনিকেশন শারফুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী জানিয়েছেন, এখনই সর্বনিম্ন রিচার্জ ৩০ টাকা করা হচ্ছে না। আগের মতোই ২০ টাকাই থাকছে। বিটিআরসির সঙ্গে আলোচনা করে তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, সর্বনিম্ন ব্যালান্স রিচার্জ ৩০ টাকা করার বিষয়টি আমরা বিবেচনা করেছিলাম। তবে গ্রাহক সুবিধার্থে বর্তমানে আমাদের আরও বিভিন্ন ধরণের যে রিচার্জ অপশনগুলো রয়েছে। যেমন - ১৪ টাকা, ১৯ টাকা। একইসঙ্গে ২৯ টাকা রিচার্জে মিনিট প্যাক, ২০ টাকার ব্যালান্স রিচার্জ কার্ড, ১৪ টাকা ও ১৯ টাকার মিনিট ও ডাটা কার্ড এবং ২৯ টাকার ডাটা কার্ড সেবা চালু রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
গ্রামীণফোন তাদের গ্রাহকদের এসএমএস ও তাদের মাই জিপি অ্যাপের মাধ্যমে জানায়, ‘আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে সর্বনিম্ন রিচার্জ অ্যামাউন্ট ৩০ টাকা হয়ে যাবে।’
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের জুলাইয়ের শুরুতে গ্রামীণফোন তাদের সর্বনিম্ন রিচার্জের সীমা ১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ টাকা করেছিল। তাদের এ সিদ্ধান্তের পরপরই আরও দুই অপারেটর রবি ও বাংলালিংকও একই মাসে তাদের রিচার্জের সর্বনিম্ন সীমা বাড়িয়ে ২০ টাকা করে।
এজেড