মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

আর্জেন্টিনার গোলরক্ষকের মুখে এমবাপের প্রশংসা

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৭:৫২ পিএম

শেয়ার করুন:

আর্জেন্টিনার গোলরক্ষকের মুখে এমবাপের প্রশংসা

কাতারে দীর্ঘ ৩৬ বছর পর আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপের সোনালী শিরোপা জয়ের অন্যতম প্রধান কারিগর এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। তবে ফাইনালে ও ফাইনালের পর এমি মাঠে ও মাঠের বাইরে কিলিয়ান এমবাপেকে উদ্দেশ্য করে যেইসব বিতর্কিত কাণ্ড ঘটিয়েছেন, তাতে তার মুখে এইবার এমবাপে বন্দনা যেন কিছুটা বেমানানই। 

কাতারের ফাইনাল জয়ের পর মাঠের মধ্যেই অশ্লীল ভঙ্গি থেকে শুরু করে ছাদখোলা বাসে ফরাসি তারকা এমবাপের পুতুল নিয়ে রসিকতায় তোপের মুখে পড়েছিলেন এই আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক। তবে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে সেসব খবর যেভাবে এসেছে, তা একদমই সঠিক নয় বলে দাবি করেছেন এমি। তাছাড়াও তিনি এমবাপের ফুটবল প্রতিভা ও সামর্থ্যে সবসময়ই মুগ্ধ থাকেন বলেও জানিয়েছেন।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন- বিশ্বকাপের ফাইনালে বুনো উল্লাসের কারণ জানালেন মার্টিনেজ

এই প্রসঙ্গে গতকাল আর্জেন্টাইন ক্রীড়া পত্রিকা ‘ওলে’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মার্টিনেজ বলেন, ‘ফাইনালের পর আমি এমবাপেকে বলেছিলাম যে, সে নিজেকে নিয়ে গর্বিত হতে পারে ও সবসময় মাথা উঁচু রাখতে পারে। কারণ সে একাই একটি দুর্দান্ত খেলা খেলেছিল। আমার বিশ্বাস সে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের মধ্যে একজন।’

কাতারের লুসাইলের ফাইনালে সেদিন নিজের সামর্থ্যের সবটুকু তুলে ধরে খেলেছিলেন এমবাপে। প্রথমার্ধে ২-০ গোলের ব্যবধানে পিছিয়ে পড়া ফ্রান্সকে সম্পূর্ণ একক নৈপুণ্যে লড়াইয়ে ফেরান তিনি। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে ৩-৩ গোলের সমতার পর টাইব্রেকারেও জালের দেখা পেয়েছিল তার শট। যদিও শেষ হাসি হাসতে পারেনি ফরাসিরা। এমবাপেদের সেদিন জয়বঞ্চিত করতে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন ‘বাজপাখি’ খ্যাত মার্টিনেজ। অতিরিক্ত সময়ের ১২১তম মিনিটে অবিশ্বাস্য এক সেভের পর টাইব্রেকারেও ফ্রান্সকে আটকে দেন তিনি।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন- রাতে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে আল হিলালের মুখোমুখি রিয়াল মাদ্রিদ

তবে সেদিন এমবাপেকে উদ্দেশ্য করে করা নানা অঙ্গভঙ্গির কারণে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন অ্যাস্টন ভিলার এই গোলরক্ষক। কিন্তু খেলোয়াড় হিসেবে এমবাপেকে ভীষণ শ্রদ্ধার চোখেই দেখেন বলে দাবি এমির।

‘ওলে’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমি আরও জানান, ‘তার বিপক্ষে খেলতে পারা আমার জন্য সম্মানের। কারণ সে প্রায় একাই ফাইনালে (ফ্রান্সকে) জিতিয়ে দিচ্ছিল। সে ফুটবলের অসাধারণ এক প্রতিভা। আমি তার মুখোমুখি হয়েই বুঝতে পেরেছিলাম যে, সবার চেয়ে আলাদা সে। লিও (লিওনেল মেসি) ফুটবল ছাড়ার পর সে অনেক ব্যালন ডি’অর জিতবে।’

এসসিএন/এফএইচ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর