আর্জেন্টিনার দীর্ঘ ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম প্রধান কারিগর দলটির গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। তবে স্বপ্ন যাত্রার পর নানারকম বিতর্কের মুখে পড়েন এমি। জয়ের পর মাঠের মধ্যেই অশ্লীল ভঙ্গি থেকে শুরু করে ছাদখোলা বাসে ফরাসি তারকা এমবাপের পুতুল নিয়ে রসিকতায় অনেকের তোপের মুখে পড়েন তিনি। এরপর তার বিরুদ্ধে ফিফার কাছে অভিযোগ করে ফ্রান্স। এবার ফরাসিদের সেই অভিযোগ আমলে নিয়ে পদক্ষেপ হাতে নিল ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
ফিফার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানা যায়, ‘ফিফা নিয়মের ১১, ১২ ও ৪৪ নম্বর ধারা ভঙ্গ করেছেন মার্টিনেজ। তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হবে। এরপরও তার বিরুদ্ধে দোষ প্রমাণিত হলে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন- নিলামে উঠছে মেসির সেই জার্সি!
এর আগে আর্জেন্টাইন বাজপাখি খ্যাত এমির বিরুদ্ধে ফিফার কাছে অভিযোগ জানিয়েছিল ফ্রান্স। সেই সঙ্গে এর প্রতিবাদ জানিয়ে আর্জেন্টিনার ফুটবল সংস্থার সভাপতিকে চিঠি দেন ফরাসি ফুটবল সংস্থার সভাপতি নোঁয়ে লে গ্রায়েঁত। সেখানে গ্রায়েঁত বলেছিলেন, ‘আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছি। ফ্রান্স দলকে সফল করতে আমাদের ফুটবলাররা নিজেদের সেরাটা দিয়েছে। এই জন্য তাদের সমর্থন দেওয়া অনেক জরুরি। আমি আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে চিঠি দিয়েছি। একটা ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় এরূপ আচরণ অস্বাভাবিক, এমবাপের আচরণ ছিল স্বাভাবিক। এটা অনেক দূর পর্যন্ত গড়িয়েছে।’
মার্টিনেজ ছাড়াও ফিফার শাস্তির মুখে পড়তে যাচ্ছে পুরো আর্জেন্টিনা দল। দলটির বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ এনে শুরু হয়েছে তদন্তও। যে অভিযোগের প্রমাণ মিললে বড় ধরণের শাস্তি পেতে পারে মার্টিনেজ-দিবালারা।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন- জেনে নিন কাতার বিশ্বকাপের সেরা সমর্থক কারা?
সম্প্রতি ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ফিফা) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ফ্রান্সের বিপক্ষে ফাইনাল জেতার পর মেসিরা লুসাইল স্টেডিয়ামের বিভিন্ন ধরণের সম্পত্তি নষ্ট করেছেন। তারা আরও জানান, ট্রফি জয়ের পর আর্জেন্টিনা দলের যে জায়গায় সাক্ষাৎকার দেওয়ার কথা ছিল, সেখানে ব্যাপক ভাঙচুর হয়। যার মূলে নাকি রয়েছেন আলবিসেলেস্তাদের অধিনায়ক লিও মেসি। তার নেতৃত্বেই গোটা দল নাকি এই অপরাধে জড়িয়েছিল। বিশ্বকাপজয়ী দলের বিরুদ্ধে এমন সব অভিযোগ আসার পরপরই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে ফিফা।
এফএইচ