আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির ‘বিংশ শতাব্দীর সেরা ক্রীড়াবিদ’, ফিফার ‘সর্বকালের সেরা’ ও ফুটবল ভক্তদের ‘সম্রাট’ তিনি। বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনকে কাঁদিয়ে অমর হয়ে ওঠা ‘পেলে’ ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধ করে শেষ পর্যন্ত পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন। বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে ব্রাজিলের সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে ৮২ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ‘ফুটবল সম্রাট’। ফুটবলের এই কিংবদন্তির বিদায়ে শোকস্তব্ধ ব্রাজিল। বিশ্ব ফুটবলেও বইছে শোকের আবহ। রাজ্যের রাজাকে তাই শেষ শ্রদ্ধা জানানোর ব্যবস্থা করল তার ক্লাব সান্তোস এফসি।
বিজ্ঞাপন
ফুটবলকেই জীবনের সবটা বানিয়ে ফেলেছিলেন পেলে। ফুটবল ছাড়া অসম্পূর্ণ ছিল তার জীবন। ১৯৫৬ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব সান্তোসের জার্সিতে ফুটবলে অভিষেক হয় পেলের। ক্লাবটির হয়ে ৬৩৬ ম্যাচে ৬১৮ গোলের রেকর্ড আছে তার।
সান্তোসের স্টেডিয়ামেই প্রথম তার পায়ের জাদু দেখেছিল গোটা ফুটবল দুনিয়া। তাই ফুটবলের এই কিংবদন্তির মৃত্যুর পর, সান্তোস ক্লাব থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সোমবার সকালে সাওপাওলোর বেসরকারি হাসপাতাল থেকে তার মৃতদেহ নিয়ে আসা হবে ভিলা বেলমিরো স্টেডিয়ামে। সেখানে সোমবার ও মঙ্গলবার তিন বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন তার অনুরাগীরা।
বিজ্ঞাপন
ব্রাজিলের জার্সি গায়ে মাত্র ১৬ বছর বয়সে অভিষেক হয় পেলের। এরপর প্রায় দুই দশক ধরে তিনি মাঠ দাপিয়ে বেড়িয়েছেন আপন রঙে। ক্লাব ক্যারিয়ারে বেশিরভাগ সময় কেটেছে ব্রাজিলের ঐতিহ্যবাহী ক্লাব সান্তোসে এফসিতে। যে ক্লাবের হয়ে নিজের নামের পাশে যোগ করেছেন ছয়শর বেশি গোল। তাছাড়াও মাত্র ১৭ বছর বয়সে বিশ্বকাপ জিতেন এই ফুটবল সম্রাট। ১৯৫৮ বিশ্বকাপের সেমিতে হ্যাটট্রিক ও ফাইনালে জোড়া গোল করে শিরোপা উঁচু করে ধরেন পেলে।
বেশ কয়েকটি ব্রাজিলিয়ান সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে জানা যায়, সান্তোসে বৃদ্ধা মায়ের বাড়ির সামনে দিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে পেলের মরদেহ। বয়সের ভারে শয্যাশায়ী মা বিছানা ছেড়ে উঠে এসে ছেলেকে শেষ বারের মতো দেখার ক্ষমতা না থাকায়, মায়ের সামনে দিয়েই শেষযাত্রা হবে পেলের। এরপর ব্রাজিলের মেমোরিয়াল নেকরোপোল ইকুমেনিকায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে ফুটবল সম্রাটের। সেখানে শুধুমাত্র থাকবেন পেলের পরিবারের সদস্যরা। সেখানে তাদের রেখেই চিরনিদ্রায় যাবেন পেলে।
এফএইচ