সোমবার, ৬ মে, ২০২৪, ঢাকা

‘আনপ্রেডিক্টেবল’ না হলে আজকের রাত ইংল্যান্ডের

হাবীব ইমন
প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০২২, ১০:০০ এএম

শেয়ার করুন:

‘আনপ্রেডিক্টেবল’ না হলে আজকের রাত ইংল্যান্ডের

তিরিশ বছর পর বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি পাকিস্তান-ইংল্যান্ড। সেই একই দেশ অস্ট্রেলিয়ায়, সেই একই ভেন্যু মেলবোর্নে— ফিরে এসেছে ৯২-এর বিশ্বকাপ! যারা ওই বিশ্বকাপটি দেখেছেন, তাদের কাছে রোমাঞ্চকর আজকের খেলাটি। দর্শকদেরও প্রার্থনা থাকবে মেলবোর্নে রোমাঞ্চকর একটি ফাইনাল হোক।

৯২-র বিশ্বকাপ রঙিন জার্সিতে খেলা প্রথম বিশ্বকাপ। ওই বিশ্বকাপে ক্যারিবিয়ানদের সঙ্গে ১০ উইকেটের শোচনীয় পরাজয় দিয়ে শুরু। তারপর খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলা। চারটি জয় তুলে নিয়েছিল। একটি ম্যাচ হয়েছিল পরিত্যক্ত। কিন্তু ৯ পয়েন্ট নিয়ে সেমিফাইনালে উঠে পাকিস্তান। ইমরান খানের অধিনায়কত্বে সেই দলটাই অবিশ্বাস্যভাবে ঘুরে দাঁড়ায় সেমিফাইনালে। নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে নিশ্চিত করে ফাইনাল। মেলবোর্নের শিরোপা নির্ধারণী সেই ম্যাচে প্রতিপক্ষ ইংলিশদের পরাজিত করে মাথায় তুলে নেয় বিশ্বকাপের মুকুট।


বিজ্ঞাপন


শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে জায়গা করে নিলেও সেই পাকিস্তানকে নিয়ে ছিল না কোনো প্রত্যাশা। গোচির নেতৃত্বাধীন ইংল্যান্ড ছিল সেবার বেশ শক্তিশালী। শিরোপা জয়ের ফেভারিটের তালিকায় তাদের নামটা ছিল প্রথমেই। খুঁড়িয়ে চলা ইমরান খানরা ছিলেন অনেকটাই ব্রাত্য। তবে ক্রিকেট খেলাটা যে অনিশ্চয়তার, সেটা যেন বিরানব্বইয়ের সেই ফাইনালে আরও একবার প্রমাণ হয়েছিল।

ত্রিশ বছর কেটে গেছে। ঘুরে ফিরে সেই অস্ট্রেলিয়াতে বসেছে বিশ্বকাপের আসর। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ফের আয়োজিত হচ্ছে ফাইনাল। সেই পাকিস্তান দলের অধিনায়ক ইমরান খান এখন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী। সেই দলের ওপেনার রমিজ রাজা দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান। আকিব জাভেদ, ইনজামাম-উল হকরা নাম লিখিয়েছেন কোচিংয়ে। ওয়াসিম আকরাম জনপ্রিয় হয়েছেন ধারাভাষ্যে।

শুধু ইমরান খানই না। ক্রিকেট পরবর্তী জীবনে রাজনীতিতে জড়িয়েছিলেন ইংলিশ ক্রিকেটাররাও। ইয়ান বোথাম তাদেরই একজন। খেলোয়াড় শেষে হয়েছিলেন ধারাভাষ্যকার। তারপর নাম লেখান রাজনীতিতে। বর্তমানে তিনি যুক্তরাজ্যের হাউস অব লর্ডসের সদস্য। ৯২ বিশ্বকাপে ইংলিশদের অধিনায়ক গ্রাহাম গোচ নিজেকে ক্রিকেটেই সম্পৃক্ত রেখেছিলেন। হয়েছিলেন নিজ দেশের ব্যাটিং কোচ। ৬৯ বছর বয়সী প্রাক্তন ক্রিকেটার গোচি নিজেকে জড়িয়েছেন হোটেল ব্যবসার সঙ্গেও।

তবে এবারের বিশ্বকাপে ইংলিশদের সঙ্গে বিরানব্বইয়ের কাউকে সেভাবে দেখা যায়নি। তবে পাকিস্তানের সঙ্গে ঠিকই জড়িয়ে আছেন তারা। রমিজ রাজা তাদের অন্যতম। তার নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের অধীনে থাকা বাবর আজমরা কি পারবেন ১৯৯২ সালের সেই সুখ স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে? 


বিজ্ঞাপন


এবার শিরোপা জয়ের স্বপ্ন নিয়ে টুর্নামেন্ট খেলতে এসেছিল দুই দলই। ভারতের সঙ্গে হারের পর জিম্বাবুয়ের সঙ্গে শোচনীয় পরাজয়। তাতে সবাই পাকিস্তানের বিদায় দেখে ফেলেছিলেন। সেই দল শেষ পর্যন্ত চলে গেছে ফাইনালে! আর শুরু থেকেই উড়তে থাকা ইংল্যান্ড কেবল হোঁচট খেয়েছে আয়ারল্যান্ড ম্যাচে। বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি তাদের হারতে হয়েছিল। তবুও দাপুটে ক্রিকেট খেলেই তারা এসেছে ফাইনালে। 

২০১৬ সালে বিশ্বকাপের ব্যর্থতা ইংল্যান্ডকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিবে। হয়তো বিশ্বকাপের ফাইনালের রাতটা হতে পারে তাদের। যদি ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ কিছু না হয়। কাগুজে সামর্থ্য যা থাকুক দুই দলের, ইংল্যান্ডকে আমি রাখব এগিয়ে।   

এইচই/এনএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর