লিভারপুলের ঘরের ছেলে ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ড। ইংলিশ ক্লাবটির সঙ্গে তার সম্পর্ক দীর্ঘ ২০ বছরের। তবে চলতি মৌসুম শেষেই ফুরোচ্ছে এ সম্পর্ক। ক্লাবটির সঙ্গে নতুন করে চুক্তি নবায়ন করেননি ইংলিশ এই ডিফেন্ডার। তিনি যোগ দিচ্ছেন স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদে। তবে লিভারপুলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে ট্রেন্টের রিয়ালে যোগ দেওয়ার বিষয়টি একেবারেই মেনে নিতে পারছেন না অল রেডদের সমর্থকরা। এমনকি নিজেদের প্রিয় তারকাকে দুয়োও দিয়েছেন সমর্থকরা।
তবে লিভারপুলের প্রাক্তন ম্যানেজার ইয়ুর্গেন ক্লপ জানিয়েছেন, তিনি টেলিভিশন বন্ধ করে দিয়েছিলেন যখন শুনেছিলেন সমর্থকরা ট্রেন্ট কে দুয়ো দিচ্ছেন।
বিজ্ঞাপন
শিশু অবস্থায়, মাত্র ছয় বছর বয়সে লিভারপুলে যোগ দেন আলেকজান্ডার-আর্নল্ড। ইয়ুর্গেন ক্লপের অধীনে তিনি ক্লাবের সাফল্যের বড় অংশ ছিলেন যার মধ্যে আছে ২০১৯-২০ মৌসুমে ৩০ বছরের খরা কাটিয়ে প্রথম প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা।
তবে নতুন চুক্তিতে সই না করার সিদ্ধান্ত জানানোর পর, কিছু সমর্থক তার প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এমনকি চলতি মাসে আর্সেনালের বিপক্ষে বদলি হিসেবে মাঠে নামলে কিছু সমর্থক তাকে দুয়ো দেন।
শুক্রবার এলএফসি ফাউন্ডেশনের ফান্ডরেইজিং ইভেন্টে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ক্লপ এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। তিনি সেখানে আর্নল্ডের সই করা একটি জার্সি নিলামে তুলেছিলেন। সেই মঞ্চেই সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দুয়ো দেওয়া একদম “ভুল” কাজ এবং তিনি ইংলিশ ফুল-ব্যাকের পক্ষে জোরালো সাফাই দেন।
বিজ্ঞাপন
ক্লপ বলেন, “আমি আপনাদের বলে দিচ্ছি না যে কী ভাবা উচিত, কিন্তু এটুকু বলতে পারি, আপনারা যা ভাবছেন, সেটা ভুল।”
ক্লাপ আরও বলেন, “আমি বলছি না যে আপনারা রাগান্বিত বা হতাশ হবেন না, শুধু এটুকু বলছি, ভুলে যাবেন না। এই ক্লাব ভুলে যায় না। আমি খেলা দেখছিলাম, যখন ও (আর্নল্ড) মাঠে নামল, তখন শুনলাম দুয়ো দেওয়া হচ্ছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে টিভি বন্ধ করে দিলাম। সত্যি বলতে, ওই মুহূর্তে আমি ভীষণ হতাশ হয়েছিলাম।”
ক্লপ আরও বলেন, “আমি সেখানে ছিলাম, আমি জানি, এই ছেলেটা ক্লাবের জন্য তার সবটুকু উজাড় করে দিয়েছে।”
একসময়ের প্রিয় তারকাকে নিয়ে এমন পরিস্থিতি দেখে অনেক লিভারপুল সমর্থকই এখন প্রশ্ন তুলছেন, সত্যিই কি দুয়ো দেওয়ার সময় এসেছে? ক্লপের কথার পর সেই বিতর্ক আরও উসকে উঠেছে।

