সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ম্যানসিটির চাকরি ছাড়ার হুমকি গার্দিওলার

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ মে ২০২৫, ০৪:৩৩ পিএম

শেয়ার করুন:

ম্যানসিটির চাকরি ছেড়ে দেওয়ার হুমকি গার্দিওলার

ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওলা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন- এই গ্রীষ্মে যদি ক্লাব স্কোয়াড ছোট না করে, তাহলে তিনি পদত্যাগ করে চলে যাবেন। কারণ, এতজন ফুটবলারকে নিয়মিত দলের বাইরে রাখাটা তার “আত্মার জন্য অসহনীয়”।

মঙ্গলবার বোর্নমাউথের বিপক্ষে ৩-১ গোলের জয়ে আরও একবার দেখা গেছে সিটির খেলোয়াড়দের গভীর স্কোয়াড। কিন্তু সেই ম্যাচে অনেক সিনিয়র খেলোয়াড় ছিলেন না ম্যাচডে স্কোয়াডে। আর এতেই অসন্তুষ্ট গার্দিওলা।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন- কেন মুখ ঢেকে কথা বলেন ফুটবলাররা?

আরও পড়ুন- সাঁতারুরাও কি সুইমিং পুলে প্রস্রাব করেন?

আব্দুকোদির খুসানভ, সাভিনিও, জেমস ম্যাকঅ্যাটি, ক্লদিও একচেভেরি ও রিকো লুইস- এই পাঁচজনই জায়গা পাননি ২০ জনের ম্যাচ স্কোয়াডে। অথচ এই জয়ে প্রিমিয়ার লিগ টেবিলে তিনে উঠে এসেছে সিটি, চ্যাম্পিয়নস লিগে ওঠার দোরগোড়ায় তারা। দলে এত বিকল্প থাকা সত্ত্বেও গার্দিওলার বার্তা পরিষ্কার। তিনি চাইছেন না এত বড় স্কোয়াড নিয়ে পরের মৌসুমে মাঠে নামতে।

তিনি বলেন, “আমি ক্লাবকে বলেছি, আমি এটা চাই না। পাঁচ-ছয়জন খেলোয়াড়কে ফ্রিজে রেখে দেওয়া, মানে নিয়মিত একাদশের বাইরে রাখা, এটা আমি চাই না। ছোট স্কোয়াড বানাও, তাহলে আমি থাকব। না হলে আমি চলে যাব,” বলেই দিলেন গার্দিওলা।


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন- বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কে প্রথম হ্যাটট্রিক করেছিলেন?

আরও পড়ুন- ফুটবল ম্যাচে গোলকিপারদের জার্সি যে কারণে দলের সবার চেয়ে আলাদা

তার ভাষায়, “আমার পক্ষে মেনে নেওয়া অসম্ভব যে আমি কিছু খেলোয়াড়কে বারবার বলব, ‘তোমরা আজও খেলতে পারছো না’। এটা আমার আত্মার জন্য কষ্টকর।”

সিটি বস আরও বলেন, “তিন-চার মাস আগে আমরা পুরো ১১ জনও ঠিকভাবে নামাতে পারছিলাম না। ডিফেন্ডারই ছিল না। পরে অবশ্য সবাই সুস্থ হয়ে ফিরেছে, কিন্তু আগামী মৌসুমে এই সমস্যাটা আর চাই না। একজন কোচ হিসেবে ২৪ জন খেলোয়াড় নিয়ে কাজ করা সহজ নয়। প্রতিবার দল বানাতে গিয়ে আমাকে চার-পাঁচজনকে বাসায় বসে থাকতে হয়। এটা চলতে পারে না। আমি ক্লাবকে বলে দিয়েছি, আমি এটা আর চাই না।”

চলতি মৌসুমের জানুয়ারিতে সিটি চার খেলোয়াড় কেনার পেছনে ২০০ মিলিয়নেরও বেশি পাউন্ড খরচ করেছে। খুসানভ, ওমর মারমুশ, নিকো গঞ্জালেজ এবং ভিটর রেইস এসেছেন তখন। সেই সঙ্গে রিভার প্লেট থেকে ধারে খেলে ফিরে এসেছেন ক্লদিও একচেভেরিও। এদিকে, এই গ্রীষ্মে কেভিন ডি ব্রুইনার ক্লাব ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত হলেও মিডফিল্ডার জ্যাক গ্রিলিশের ভবিষ্যৎ এখনও অনিশ্চিত। তিনি সর্বশেষ প্রিমিয়ার লিগে মূল একাদশে খেলেছেন ২ এপ্রিল।

গার্দিওলার সঙ্গে ২০২৭ সাল পর্যন্ত চুক্তি থাকলেও, যখন তাকে প্রশ্ন করা হলো, তাহলে কি আরও খেলোয়াড় ছাড়তে হবে? তখন তিনি বলেন, “এটা ক্লাবের ব্যাপার। তবে আমি চাই না এমন একটা অবস্থা হোক, যেখানে ২৪-২৫-২৬ জন খেলোয়াড় একসঙ্গে থাকে, সবাই ফিট থাকে, আর আমি জানি ওদের সবাইকে খেলানো যাবে না। যদি ইনজুরি হয়, তাহলে অ্যাকাডেমির খেলোয়াড়দের নিয়ে দল বানাব। কিন্তু স্কোয়াড বড় হবে না।”

গার্দিওলা মনে করেন, এত বড় স্কোয়াড টিকিয়ে রাখা খুব কঠিন। শুধু তাই না, এতে করে দলের ভেতরের সম্পর্কও নষ্ট হয়। “দলের আত্মা বলেও একটা জিনিস আছে। আমরা এই মৌসুমে সেটা কিছুটা হারিয়ে ফেলেছি। খেলোয়াড়দের মধ্যে সেই আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে হলে ছোট স্কোয়াড দরকার,” বলেন গার্দিওলা।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর