শার্দূল ঠাকুর ভারতীয় ক্রিকেটের লর্ড হিসেবেই পরিচিত। মূলত ভক্তরা ট্রল করেই এমন নাম দিয়েছিলেন। বেশ কয়েকবার সুযোগ পেলেও জাতীয় দলে নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করতে পারেননি তিনি। এমনকি আইপিএলেও তার জায়গা তেমন নির্দিষ্ট ছিল না। একেক মৌসুমে একেক ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলেছেন তিনি।
এবারের আসর শুরুর আগে মেগা নিলামে তো তাঁকে কিনতে আগ্রহও দেখায়নি কোনো দল। শেষ পর্যন্ত অবিক্রীত ছিলেন বলে পাড়ি জমাতে চেয়েছিলেন ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেটে। তবে শেষ পর্যন্ত কপাল খুলেছে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস তার প্রতি আগ্রহ দেখানোয়।
বিজ্ঞাপন
লক্ষ্ণৌয়ের পেসার মহসিন খানের হাঁটুর লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়ায় ২ কোটি রুপিতে শার্দূলকে ‘নিবন্ধিত খেলোয়াড়দের পুল’ থেকে দলে নিয়েছে লক্ষ্ণৌ। নিয়মিত একাদশে খেলার সুযোগও পাচ্ছেন এই ক্রিকেটার। প্রথম ২ ওভার বোলিং করে নিয়েছিলেন ২ উইকেট, যদিও ম্যাচটি হেরে গিয়েছিল তার দল। এরপর গতকাল দ্বিতীয় ম্যাচেও দলে ছিলেন তিনি। ৪ ওভারে ৩২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
শার্দূলের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সুবাদেই সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ১৯০ রানে থামিয়ে দিতে পেরেছিল লক্ষ্ণৌ। এদিকে গতকাল ৪ উইকেট নিয়ে আইপিএলের ২৫ তম বোলার হিসেবে ১০০ উইকেটের মাইলফলকও ছুঁয়েছেন শার্দূল। এরপর ম্যাচ সেরাএ পুরস্কার পেয়েছন তিনি।
কাল পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে শার্দূল বলেন, ‘সত্যি বলতে, এবারের আইপিএলে খেলতে পারব ভাবিনি। নিজস্ব (ভিন্ন) পরিকল্পনা করে রেখেছিলাম। কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে যাওয়ার পরিকল্পনাও ছিল। রঞ্জি ট্রফি চলার সময় জহির খান (লক্ষ্ণৌর পেস বোলিং পরামর্শক) একদিন আমাকে ডেকে পাঠালেন এবং বললেন, “সম্ভাব্য বদলি হিসেবে তোমাকে দলে নেওয়া হতে পারে। তাই খেলা থেকে মনোযোগ সরিয়ে নিয়ো না। যদি তোমাকে নেওয়া হয়, তাহলে শুরু থেকেই খেলানো হবে।”’
৩৩ বছরের শার্দূল দেশের হয়ে ১১টি টেস্ট, ৪৭টি এক দিনের ম্যাচ এবং ২৫টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। কিন্তু ২০২৩ সালের পর থেকে আর দেশের জার্সি পরার সুযোগ পাননি। এ বারের আইপিএলে ভাল খেলে আবার ভারতীয় দলে ফেরার চেষ্টা করবেন শার্দূল। তিনি বলেন, “আমি সব সময় মনে করি যে প্রতিভা এবং স্কিল সব সময় থাকে। আসল হচ্ছে পারফরম্যান্স। ক্রিকেটে খারাপ সময় আসে। সেটার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।”