হার্ট অ্যাটাকের ধাক্কা ধীরে ধীরে সামলে ওঠছেন তামিম ইকবাল। গত ২৪ মার্চ ডিপিএলের ম্যাচ খেলতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন দেশবরেণ্য এই ক্রিকেটার। এদিকে হার্টে রিং পরানোর পর ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠছেন তামিম। এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে আজ ২৮ মার্চ (শুক্রবার) বাসায় ফিরেছেন তামিম ইকবাল।
আপাতত তার ঝুঁকি খুব একটা নেই। তবে বাসায় লম্বা সময় বিশ্রামে থাকতে হবে, পাশাপাশি মেনে চলতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ। এছাড়া এখন মানসিকভাবে কিছুটা দুর্বল তামিম ইকবাল। তাই দ্বারস্থ হতে হচ্ছে মনোবিদের।
বিজ্ঞাপন
এদিকে তামিমের অসুস্থ থাকার সময়ই একটি বিষয় বেশ বিতর্ক ছড়িয়েছে। এভারকেয়ার হাসাপাতালের দুই জন সিনিয়র ও নামী চিকিৎসক গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এসে জানিয়ে দিয়েছেন, তামিম ধূমপান করেন এবং তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে এসেও ধূমপান করতে চেয়েছেন।
দুই জন নামী, দক্ষ, অভিজ্ঞ ও সিনিয়র চিকিৎসকের এভাবে রোগীর ধূমপান করার তথ্য প্রকাশ বিষয়টিকে অনেকেই স্বাভাবিকভাবে নিতে পারছে না। অবশেষে ২৪ ঘণ্টা না যেতেই ওই দুই চিকিৎসক সংবাদ সম্মেলনে এসে তামিমের ধূমপানের বিষয়টি প্রকাশের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন এবং দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
শুক্রবার বিকেলে এভারকেয়ার হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলনে প্রফেসর সাহাবউদ্দীন তালুকদার ও আরিফ রহমান দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘তামিমের শারিরীক অবস্থার বর্ণনা দিতে গিয়ে ধূমপানের প্রসঙ্গ চলে আসে। ধূমপান যে হৃদরোগের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ, তা জানাতে গিয়ে ভুলবশত তামিমকে সম্পৃক্ত করার জন্য দুঃখিত। আমি আসলে ধূমপানটা হৃদরোগীদের জন্য অনেক ঝুঁকিপূর্ণ বলে বোঝাতে গিয়ে তামিমকে জড়িয়ে ফেলেছিলাম। সেজন্য দুঃখিত।’
এভারকেয়ার মেডিকেল ডিরেক্টর আরিফ রহমান বলেন, ‘ধূমপানের বিষয়টি সামনে এনে আমরা বুঝতে পেরেছি, দেশবরেণ্য ক্রিকেট ব্যক্তিত্ব তামিম ইকবাল ভাইয়ের ব্যক্তিজীবন, পারিবারিক, সামাজিক জীবন ও গোটা ক্যারিয়ারের জন্য একটা নেতিবাচক বার্তা দিয়েছে। বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলেছে। আমি ও স্যার সাহাবউদ্দীন তালুকদার আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমরা তামিম ভাই এবং তার পরিবারের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই তামিম ভাই যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে খেলায় ফিরে আসেন।’