বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে যুক্ত হয়েছে আরও একটি নতুন অর্জন। তরুণ এবং ইভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের মিশেলে গঠিত দল নিয়ে পাকিস্তান সফরে গিয়ে ইতহাস গড়েছে টাইগাররা। এর আগে কখনোই সাদা পোশাকে পাকিস্তানের বিপক্ষে জয় না পাওয়া বাংলাদেশ এবার ম্যান ইন গ্রিনদের টেস্ট সিরিজ হারিয়েছে। শুধু তাই, জয়ের পথে স্বাগতিকদের ধবলধোলাইও করেছে নাজমুল শান্তর দল।
পাকিস্তানের বিপক্ষে এই সিরিজে ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং সব বিভাগেই দুর্দান্ত খেলেছে টাইগাররা। কখনো পেসারারা ব্যবধান গড়ে দিয়েছেন, কখনোবা স্পিনাররা, টপ অর্ডার ব্যাটাররা সুযোগ কাজে লাগাতে না পারলে সেটা করে দেখিয়েছেন মিডল অরড়ডার ব্যাটাররা, আবার কখনো টপ অর্ডার ব্যাটাররাই এগিয়ে দিয়েছেন দলকে।
বিজ্ঞাপন
পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে ১০ উইকেটের দারুণ এক জয়ের পর দ্বিতীয় টেস্টে খেলতে নেমে প্রথম ইনিংসের ব্যাটিংয়ে ২৬ রান করতেই ৬ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়েছিল টাইগাররা। তবে সে অবস্থা থেকেও ঘুরে দাঁড়িয়ে দুর্দান্ত এক জয়ের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। এমন সিরিজ জয়ের পথে দারুণ কিছু রেকর্ডও গড়েছে টাইগাররা।
তৃতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়:
বিজ্ঞাপন
সাদা পোশাকে বাংলাদেশ সবথেকে বেশি রান তাড়া করে জিতেছে ২০০৯ সালে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সেই ম্যাচে টাইগারদের লক্ষ্য ছিল ২১৫। এরপর গতকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৮৫ রান তাড়া করে জয় বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ।
ইংল্যান্ডের পর যে কীর্তি কেবল বাংলাদেশের:
এর আগে টেস্ট ইতিহাসে কেবল একবারই হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল পাকিস্তান। সেটিও দুই বছর আগে। ২০২২ সালে পাকিস্তানে টেস্ট সিরিজ খেলেছে ইংল্যান্ড। সেই সফরে ইংলিশদের কাছেও ম্যান ইন গ্রিনরা হেরেছিল ৩-০ ব্যবধানে। এরপর কেবল বাংলাদেশই পাকিস্তানকে টেস্টে ধবলধোলাই করেছে।
২৬ বা এর চেয়ে কম রানে ৬ উইকেট হারিয়েই টেস্ট জেতা:
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ২৬ রানেই ৬ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর লিটন দা সেবং মেহেদী মিরাজের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ঘুরে দাঁড়ায় টাইগাররা। এমন কীর্তি গড়া তৃতীয় দল বাংলাদেশ। এর আগে ১৮৮৭ সালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল ইংল্যান্ড, ১৯৯৯ সালে একই অবস্থান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ভারতকে হারিয়েছিল পাকিস্তান।
সাতে সাত:
টেস্টে বাংলাদেশ ২১৫ বা এর চেয়ে কম রানের লক্ষ্য পেয়েছে সাতবার। সাতবারই জয় পেয়েছে টাইগাররা।